দিনকয়েক আগেই হিজবুল্লা প্রধান নাসরাল্লাকে হত্যা করেছে ইজরায়েল। দীর্ঘ তিন দশকেও বেশি সময় ধরে হিজবুল্লার প্রধান ছিলেন তিনি। তাঁর জন্যই ২০০০ সালে ইজরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। নাসরাল্লার নেতৃত্বেই ২০০৬ সালে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ৩৪ দিন ধরে লড়াই জারি রেখেছিল হিজবুল্লা। লেবাননে গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল।
গত সপ্তাহেই সেখানে একের পর এক পেজার, ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে বহু প্রাণহানি হয়। একইসঙ্গে হিজবুল্লার ডেরা লক্ষ করে লাগাতার বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ।
এই আবহেই গাজার একাংশে লাগাতার বোমা বিস্ফোরণের ভিডিয়ো সামনে আনল হামাস। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে হামাসের এক সদস্য কীভাবে ইজরায়েলি বাহিনী আইডিএফের বিরুদ্ধে আক্রমণের ছক কষছেন। আক্রমণের আগে পুরো এলাকাটিতে ড্রোন দিয়ে ছানবিন করার ভিডিয়োও সামনে এনেছে হামাস গোষ্ঠী।
উল্লেখ্য, নাসরাল্লাকে প্রাণে মারার জন্য লেবাননে ‘নিউ অর্ডার’ নামে অভিযান শুরু করে ইজরায়েল। ইজরায়েলি বাহিনী আইডিএফ সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরেই নাসরাল্লার গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। নাসরাল্লা প্রতি মুহূর্তে তাঁর ঠিকানা বদলাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কয়েক মিনিটে ৮৫টি এক টনের বোমা ফেলা হয় ওই বহুতল লক্ষ করে।