মাত্র ১০ দিনের যুদ্ধেই কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে ইউক্রেনের একের পর এক শহর। একেবারে কাছের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত। যুদ্ধে কাল কী হবে, কেউ জানে না। প্রাণে বাঁচবেন কিনা, সেটুকুও নিশ্চিত নয়। এরই মধ্যে ইতিহাসকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা লিভিউয়ের মিউজিয়ামে।
ইউক্রেনের ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে থাকা শিল্পকর্ম বাঁচাতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সে সব, কোনওটা বাক্সবন্দি হচ্ছে, কোনওটার ঠিকানা বদলাচ্ছে। লিভিউয়ের অ্যানদ্রে শেপ্টিটস্কি জাতীয় সংগ্রহ শালার কর্মীরা নাওয়া খাওয়া ভুলে পরিশ্রম করে চলেছেন।
দুই বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী এই মিউজিয়াম। এবারের অন্ধকারটা উতরে দিতে পারবে না?
মিউজিয়ামের ডিরেক্টর নিজে হল ঘুরে ঘুরে কাজ তদারকি করছেন বুকে পাথর চেপে রেখে। মনে আশঙ্কা আছে, রুশ হামলায় পরক্ষণেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে আশপাশ, মুছে যেতে পারে দেশের ইতিহাসের সব চিহ্ন। তার আগে, যতক্ষণ আছেন, জীবন দিয়ে আগলে রাখছেন অমূল্য সব শিল্প নিদর্শন।
১২০০০ পাণ্ডুলিপি বাক্সবন্দি করা গেছে ইতিমধ্যে।
৫০০ বছর আগের অমূল্য শিল্পকর্মের চলেছে এক গ্যালারি থেকে অন্য গ্যালারি। যাই হয়ে যাক, মিউজিয়ামকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য, ইউক্রেনের আগামী প্রজন্মের জন্য।কারণ ইতিহাসের মৃত্যু নেই, ইতিহাস যে কথা বলে। সেস সব শুনতে হবে তো।