অন্তর্বর্তী সরকারের হাতেই আপাতত থাকবে বাংলাদেশ। তার প্রধান হিসাবে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নামই প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সরকারকে কারা থাকবেন সেই তালিকা ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে গত ৪৮ ঘণ্টা সেনার শাসনে থাকার পরেও কেন জ্বলছে বাংলাদেশ ? কেন লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল ? কেন আওয়ামী নেতাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ ? তাহলে কী ছাত্র আন্দোলনের পিছনে রয়েছে, অন্য কোনও হাত ?
মঙ্গলবার দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে তিন প্রশ্ন রেখেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর প্রথম প্রশ্নই ছিল, বাংলাদেশের আন্দোলনে পাক মদত নেই তো ? তাঁর প্রশ্নের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকার আন্দোলনের পিছনে জঙ্গি যোগের দাবি করলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। ওই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কোটা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে গত দু মাস লাগাতার ভারত বিরোধী উস্কানি দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, এই ব্যাপারে পাক গুপ্তচর সংস্থার দোসর জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির। দিল্লির দাবি, সোশাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে হাসিনা সরকার ও ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হয়েছে। এই ব্যাপারে দিল্লির হাতে প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে গত দু বছর ধরে এই পরিকল্পনা চলছিল। যা কার্যকর করা হল ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার করে। সোশাল মিডিয়ার পোস্ট বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দাদের দাবি, পড়ুয়া সেজে উস্কানি দিয়েছে ১৬ পাক চর। তাদের মধ্যে তিন থেকে চার জন পাকিস্তানের বাসিন্দা।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের এই নয়া দাবি কার্যত ইঙ্গিত করছে ইসলামাবাদের দিকেই। গোয়েন্দাদের দাবি, কুমিল্লা থেকে যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে তার পিছনে জঙ্গি যোগ স্পষ্ট। যার জের হাসিনা সরকারের পতনের পরেও রয়েছে বাংলাদেশে। এর ফলে গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া উত্তেজনা মঙ্গলবারও চরমে ওঠে। হিংসার খবর পাওয়া যায় বেশ কিছু জেলা থেকে।