ইসকন সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দাবিতেই এবার বাংলাদেশ হাই কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ আদালতকে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, ইসকনকে নিষিদ্ধ করা সরকারের মূল এজেন্ডার অংশ। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়া চলছে। আদালতে ইসকনকে একটি 'ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন ও দ্রুত নিষেধাজ্ঞা জারি করা জরুরি। তাঁর দাবি, এই সংগঠন বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে।
তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও মানবাধিকার কর্মীরা ইসকনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছে, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হলে বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিঘ্নিত হবে। এর পাশাপাশি গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াও তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে উত্তাল হয়েছে চট্টগ্রাম। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাতভর বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কোথাও কোথাও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগও হয়েছে। চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে এই ঘটনার প্রতিবাদে সংঘর্ষ হয়েছে। সেই সংঘর্ষে একজন আইনজীবী সইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই আইনজীবীর মৃত্যুর জন্য এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শুনানি চলাকালীন আদালত অ্য়াটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চায়, বাংলাদেশের কীভাবে ইসকন প্রতিষ্ঠিত হল! এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেলন মহম্মদ আজাদুজ্জামান জানান, "ইসকন কোনও রাজনৈতিক দল নয়। এটি মৌলবাদী ধর্মীয় সংগঠন। সরকার ইতিমধ্যে এর গতিবিধি খতিয়ে দেখছে।"কিছুদিন আগে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন। বাংলাদেশের ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সোমবার ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ সরকার। এরপরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবি এই রাজ্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে ইতিমধ্যেই ঢাকাকে কড়া বার্তা দিয়েছে দিল্লি। যেভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে, তা নিয়ে বিদেশমন্ত্রক উদ্বিগ্ন।