বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার দুপুর তিনটে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী ছাত্র নেতারা। সেই সময়সীমার মধ্যেই সংসদ ভাঙার কথা জানানো হল। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে একথা জানানো হল। এই পরিস্থিতিতে জেল থেকে ছাড়া হল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। আর্থিক তছরূপের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার থেকে শিথিল ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কার্ফু। কিন্তু তাতে কী বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল ? এই প্রশ্ন তুলে দিল প্রথম সারির দৈনিক প্রথম আলো। তাদের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের দেওয়া খবরে দাবি করা হয়েছে, সরকারি অফিস, কাছারি খোলা থাকলেও উপস্থিতির হার ছিল নগন্য। এমনকী, স্কুল-কলেজে দেখা পাওয়া যায়নি পড়ুয়াদের।
এদিকে, সোমবারের পর মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উঠে আসছে হিংসার ছবি। বাংলাদেশি দৈনিক প্রথম আলোর খবর, গত রবিবার আন্দোলনকারীদের হামলায় এনায়েতপুরে জ্যান্ত পোড়ানো হয়েছে ১৪ পুলিশ কর্মীকে। ওই দৈনিকের খবর, সেইসময় থানার মধ্যে কাজ করছিলেন ৪০ জন পুলিশ কর্মী। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন কোণায় আওয়ামী লিগের সাংসদ এবং সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। নোয়াখালিতে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বাড়ি।
সবমিলিয়ে কার্ফু শিথিল হলেও এখনও স্বাভাবিক নয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি। কূটনৈতিক মহলের দাবি, এই পরিস্থিতিতে ঢাকার মসনদে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিষ্ঠার দাবি জানাল ওয়াশিংটন। মার্কিন বিদেশ দফতর এই বিবৃতিতে জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বদলে নতুন করে ভোট নেওয়া হোক বাংলাদেশ।