৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত (Queen Elizabeth II died) হলেন মহারানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ব্রিটেনের রাজগরিমাকে মুকুটে নিয়ে সিংহাসনে ছিলেন ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ জানতে পারলে আক্ষরিক অর্থেই চোখ কপালে উঠে যায়।
রাজপরিবার করদাতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেত। যা 'অনুদান' নামে পরিচিত। এটি রাজপরিবারকে (Royal family of Great Britain) বার্ষিক ভিত্তিতে দেওয়া হয়। রাজা তৃতীয় জর্জের সময় এই অনুদান শুরু হয়েছিল। তিনি সংসদে একটি চুক্তি পাস করেছিলেন। এই চুক্তিটি মূলত 'সিভিল লিস্ট' নামে পরিচিত। ২০১২ সালে একটি সার্বভৌম অনুদান দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। এই তহবিলগুলি অফিসিয়াল ভ্রমণের খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং রানির বাড়ি - বাকিংহাম প্যালেসের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ করা হয়।
রানি তাঁর (Queen Elizabeth II died) বিনিয়োগ, শিল্প সংগ্রহ, গহনা এবং রিয়েল এস্টেট হোল্ডিং থেকে ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তিগত সম্পদ সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ইতিহাসে দীর্ঘতম অপেক্ষা, রানির মৃত্যুতে ব্রিটেনের নতুন রাজা ৭৩ বছরের যুবরাজ চার্লস
ব্রিটিশ রাজপরিবারের মোট সম্পত্তির মূল্য কমপক্ষে ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অন্তত সেই কথাই বলছে। তবে বর্তমানে ব্রিটেনে রাজতন্ত্র চলে না। সেই কারণেই এই বিপুল সম্পদ রাজপরিবারের কুক্ষিগত নয়। তবে রানির (Queen Elizabeth II died) ব্যক্তিগত সম্পদ রয়েছে। যার পরিমাণ ৪৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ক্রাউন এস্টেটের লভ্যাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পেতেন এলিজাবেথ (Queen Elizabeth II died) । ওই এস্টেটের মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মধ্যযুগ থেকে ল্যানচেস্টার এস্টেট রাজপরিবারের দখলে। ৩১৫টি বসতবাড়ি, কমার্শিয়াল প্রপার্টি (Queen Elizabeth II assets) এবং কৃষিজমি নিয়ে তৈরি এই এস্টেট থেকে কমপক্ষে ২০ মিলিয়ন করে ইনকাম হয় বাকিংহাম প্যালেসের। এই টাকা ব্যবহার করেই নাকি বালমোরাল এবং স্যানড্রিঙ্ঘামের সম্পত্তির যত্ন নিতেন রানি।
উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলের মূল্য কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন ইউরো এবং স্যান্ড্রিঙ্ঘাম কান্ট্রি এস্টেটের বর্তমান মূল্য আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন ইউরো।
এছাড়া, লন্ডনের কেন্দ্রে রাজপরিবারের অধীনে রয়েছে বিপুল ব্যবসায়িক সম্পত্তি। গোটা ব্রিটেন জুড়ে রয়েছে কয়েক হাজার একরের চাষের জমি।
রানির প্রয়াণের পর এই সমস্ত কিছুর বন্টন কীভাবে হবে, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে জনমানসে।