মাঙ্কি পক্স (Monkey pox) নিয়ে ক্রমেই কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে বৈজ্ঞানিক ও গবেষকদের। মাঙ্কিপক্স নতুন না হলেও এর সম্বন্ধে তেমন স্পষ্ট ধারণা এর আগে ছিল না সাধারণ মানুষের। কোভিডের (Covid pandemic) ভয়াবহ সংক্রমণ ও তারপরের অতিমারি পেরিয়ে এসে ফের মাঙ্কি পক্সের সম্মুখীন হওয়ার নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তবে, এর মধ্যেই মাঙ্কি পক্স নিয়ে কিছু আশার কথা শোনাল ল্যানসেটে (Lancet study) প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণা।
২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মাঙ্কি পক্সে (Monkey pox) আক্রান্ত সাতজনকে নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। ওই ৭ জনই ব্রিটেনের বাসিন্দা। এই গবেষণার সমীক্ষা সম্প্রতি ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এই গবেষণা অনুযায়ী, এমন কিছু ‘অ্যান্টি ভাইরাল’ ওষুধ আছে যা প্রয়োগ করলে মাঙ্কি পক্সের (Monkey pox) উপসর্গগুলিকে প্রশমিত করা সম্ভব। শুধু তা-ই নয়, এই সব ওষুধের প্রয়োগ করে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন- এমন দাবি করেন গবেষকরা (Lancet study)। এক্ষেত্রে রোগীদের ওপর দুটি ভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ- ব্রিনসিডোফোভির ও টেকোভিরিমাটের প্রয়োগ করেই আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুরু জিজ্ঞাসাবাদ
যদিও, মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে গবেষকরা ব্রিনসিডোফোভির নামক ওষুধটির কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হলেও টেকোভিরিমাটের বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, রক্ত এবং লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলেই শরীরে মাঙ্কি পক্সের উপস্থিতি টের পাওয়া সম্ভব।
চিকিৎসকরা বলছেন ২ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায় মাঙ্কিপক্স (Monkey pox)। এটি নিজে থেকেই সেরে ওঠে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। তবে প্রয়োজনে ওষুধের দরকার পড়ে। অল্প থাকতেই বা লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসায় সেরে ওঠে মাঙ্কিপক্স।
আক্রান্তের সর্দি, কাশি থেকে এই রোগ ছড়িয়ে যায়। আক্রান্তের সঙ্গে অনেকক্ষণ মুখমুখি কথা বললে এই রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে। সঙ্গমের থেকেও এই রোগ ছড়িয়ে যাচ্ছে। সঙ্গমকালে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়। এছাড়াও ভাইরাস রয়েছে এমন কোনও জিনিস, বা পোশাক, ভাইরাস আক্রান্তের রক্ত থেকে ছড়িয়ে যেতে পারে এই রোগ।