মহাসংকটে বাংলাদেশ। নোয়াখালি, ফেনি, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ অন্তত ১০টি জেলায় বন্যাপরিস্থিতি ভয়াবহ। বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্ত জুড়ে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এই ভয়াবহ বন্যার কারণে। বন্যার জেরে কয়েক লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ, এই পরিস্থিতির জন্য ভারত দায়ী। ত্রিপুরার ডম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণেই নাকি বন্যা দেখা দিয়েছে পূর্বের জেলাগুলোতে। ধলাই জেলায় গোমাতী নদীর ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কারণেই বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই যে অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ভারত যে এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, জানানো হয়েছে সে কথাও।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, “বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে ত্রিপুরার গোমতী নদীতে দুম্বুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা হয়েছে। এটা সঠিক তথ্য নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হয়েছে। মূলত বাঁধের নীচে দিকে জলের প্রবাহের কারণেই বাংলাদেশে এই বন্যা হয়েছে।”
বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত হওয়া গোমতী নদীর অববাহিকা এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্ন অববাহিকা অঞ্চলে বৃষ্টির দরুন জলপ্রবাহ বাংলাদেশের বন্যার প্রকৃত কারণ।