বাংলাদেশের(Chittagong Fire) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৫ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আহত হয়েছেন সাড়ে চারশোরও বেশি। আহতদের মধ্যে ডিপোর কর্মী ছাড়াও রয়েছেন পুলিশ এবং দমকলের কর্মীরাও(Fire Brigade)। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ ডিপোয় বিস্ফোরণ(Bangladesh Fire) হয়। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এবং দমকল মনে করছে, ডিপোয় একটি কন্টেনারে মজুত রাসায়নিকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখান থেকে আগুন ডিপোর অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। বিস্ফোরণে তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে।
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এপাশে-ওপাশে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন অনেকে। কেউ নিথর হয়ে পড়ে। চারদিকে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। হঠাৎই আরও জোরালো একটি বিস্ফোরণ(Chittagong Blast)। সেই বিস্ফোরণে পা উড়ে যায় সদ্য চাকরিতে যোগ দেওয়া মমিনুলের। পকেট থেকে কোনও রকমে ফোনটা বার করে বাবাকে বলেছিলেন, “বাবা কিছু ক্ষণ পর পর এখানে ব্লাস্ট হচ্ছে। আমার পা উড়ে গিয়েছে।” তারপরই ফোনটা কেটে গিয়েছিল। এরপরই আত্মীয়দের বিষয়টি জানিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে(Chittagong Medical College Hospital) যেতে বলেন মমিনুলের বাবা ফরিদুল। হাসপাতালে যান মমিনুলের কাকা খোরশেদ আলম। সেখানে গিয়ে ভাইপোর মৃতদেহ শনাক্ত করেন খোরশেদ।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা এবং উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীকে(Bangladesh Army) কাজে লাগানো হয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফউদ্দিন। কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনার তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান বিভাগীয় কমিশনার।