শ্রীলঙ্কায় সেনা শাসন। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মঙ্গলবার সকালেই দেশের শাসন ব্যবস্থা সেনা ও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, শ্রীলঙ্কা ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাক্ষে। এদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। জানা গিয়েছে, আশ্রয় নিয়েছেন কলম্বোর খুব কাছেই নৌ-সেনা ঘাঁটিতে। এদিকে, জরুরি ভিত্তিতে সংসদের অধিবেশনে ডাকার জন্যে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন সংসদের অধ্যক্ষ মাহিন্দা ইয়াপা।
সোমবার রাতের পর মঙ্গলবার সকালেও থমথমে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। শহর বিভিন্ন কোণায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে হিংসার ছবি। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, দুপুরেও বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লক্ষ্য করে অন্তত ১০টি পেট্রলবোমা ছুড়েছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, হিংসায় উস্কানি এবং সোমবার সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যুতে রাজপক্ষকে গ্রেফতার করতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রনতুঙ্গার দাবি, “শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন মানুষ। কিন্তু তাঁদের উপর যে ভাবে আক্রমণ করা হল তা অপ্রত্যাশিত। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। বিভোক্ষকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেনি। যদি ঠিক মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হত, তা হলে এই ঘটনা ঘটত না।”