একদিকে টলোমলো অর্থনৈতিক অবস্থা। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদী হামলার বাড়বাড়ন্ত। এই দুই কাঁটা সঙ্গে নিয়েই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সাধারণ নির্বাচন।
পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা জাতীয় সংসদের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার পাক পঞ্জাব, সিন্ধ, খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে প্রাদেশিক আইনসভার ভোটগ্রহণও হবে।
Nusrat Jahan: ভালোবাসার সপ্তাহে উদযাপন শুরু নুসরতের, রোজ ডে-তে গোলাপ হাতে ছবি পোস্ট করলেন টলিসুন্দরী
ভোটগ্রহণ শুরু সকাল ৮টায়। শেষ হবে বিকেল ৫টায়। তারপর শুরু হবে ভোট গণনা। পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের মোট আসন ৩৩৬। কিন্তু তার মধ্যে ভোট হয় ২৬৬টি আসনে। বাকি ৭০টি আসন মহিলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। তবে এই সংরক্ষিত আসনগুলির উপর সরকার গঠন নির্ভরশীল নয়।
২০১৮ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল ইমরান খানের দল তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। ইমরান এখন জেলে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন তাঁর দলের স্বীকৃতি বাতিল করেছে। পিটিআই নেতাদের অনেকে তাই লড়ছেন নির্দল হিসাবে।
এবারের নির্বাচনে বড় শক্তি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এছাড়া লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে কট্টরপন্থী জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম দলও। ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রান্তকারী হাফিজ় সইদের সংগঠন জামাত উদ-দাওয়ার রাজনৈতিক শাখাও ভোটে লড়ছে।