গত দু বছর ধরে করোনার জাঁতাকলে জীবন গিয়েছে আটকে। পড়াশোনার ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়েছে। এবার সেই মানসিক যন্ত্রণা কাটাতে এগিয়ে এলে আমেরিকার এক বেসরকারি কলেজ। তাদের পাঠ্যক্রমে এবার পর্নোগ্রাফি ছবি ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। যেখানে নিজেদের তৈরি ছবি নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন পড়ুয়ারা। এমনকী, পড়ুয়াদের পাশে বসিয়েই সেই ছবি দেখবেন শিক্ষকরা। গোটা বিষয়টিকে শিক্ষার অঙ্গ হিসেবেই দেখা হবে বলে দাবি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের। কলেজের এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পড়ুয়াদের মধ্যে।
আমেরিকার উটা শহরের ওয়েস্টমিনস্টার কলেজ। এই কোর্সটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিল্ম ৩০০০’। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, যৌনতার মধ্যে যে জাতি, শ্রেণি এবং লিঙ্গের কোনও ভেদাভেদ নেই এবং যৌনতা যে একটি শিল্প, পড়ুয়াদের তা বোঝানোই এই পঠনপাঠনের মূল লক্ষ্য। তা ছাড়া এই পর্নোগ্রাফির পঠনপাঠনের মধ্য দিয়েই ‘সামাজিক সমস্যাগুলিকে আরও ভাল ভাবে ব্যাখ্যা’ করার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। এমনটাই দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের।
কলেজ কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, এই বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে তাঁরা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্তের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করবেন কি না, এই পঠনপাঠনই তাঁদের সেই সিদ্ধন্ত নিতে সাহায্য করবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, ‘রবিবার রাতের ফুটবল ম্যাচের তুলনায় পর্নোগ্রাফি অনেক বেশি জনপ্রিয়। কোটি কোটি ডলারের এই শিল্পের যে একটা সাংস্কৃতিক পরিচয় আছে সেটাকে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।’
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই পঠন পাঠন চালু হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের পরই মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। অনেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিরক্তিকর। কী ভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিল কলেজ? আবার অনেকে কলেজের এই সিদ্ধান্তকে খুব একটা খারাপ চোখেও দেখছেন না।