সেনা-সমর্থিত বা রাষ্ট্রপতিশাসিত কোনও সরকারকে সমর্থন করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এই মঞ্চই কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করেছিল৷ পরে শেখ হাসিনার সরকার পতনের দাবির আন্দোলনেও ছিল নেতৃত্বকারী ভূমিকায়। আন্দোলনকারীদের প্রস্তাবিত সরকার ছাড়া অন্য কোনও সরকার মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার রাতে তেজগাঁওয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, তাঁরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্ন্তবর্তীকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন৷ তিনি বলেন, "ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটানো হয়েছে। কেবল ব্যক্তিকে সরালেই সমস্যার সমাধান হবে না, বরং যে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্য দিয়ে এ ধরনের ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়, সেই কাঠামোরও বিলোপ করে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আমাদের করতে হবে।"
বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সংগঠকরা মঙ্গলবার সকালে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে মহম্মদ ইউনুসের নাম প্রস্তাব করেছেন।
নাহিদ জানান, অর্ন্তবর্তীকালীন জাতীয় সরকারে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকদের অংশ থাকবে। নাগরিক সমাজ-সহ নানা পেশার মানুষ ও নানা পক্ষের প্রতিনিধিত্বও থাকবে। এর বাইরে সেনা সমর্থিত কোনও সরকার বা জরুরি অবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার 'বিপ্লবী ছাত্র-জনতা' মেনে নেবে না।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা চলছে। সেই প্রসঙ্গেও বার্তা দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন৷ নাহিদ বলেছেন, "দল, মত ও ধর্মনির্বিশেষে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। কোনও ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি, নাশকতা বা বিভাজনের চেষ্টা হলে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে তা রুখে দিতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে এবং দেশের সম্পদ রক্ষা করতে হবে।"