লাগাতার বোমা এবং গোলাবর্ষণের মধ্যে আটকে থাকা শরণার্থী এবং শিশুদের উদ্ধারের জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটল রাশিয়া এবং ইউক্রেন। যদিও মাত্র ১২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে কতখানি কাজের কাজ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনে আটকে পড়া সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য (evacuation corridor) ১২ ঘণ্টা সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা হল। দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় সাময়িক সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিয়ান ভেরেশচুক (iryna vereshchuk)।
আরও পড়ুন: সুর নরম জেলেনেস্কির, আর ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় না ইউক্রেন
স্থানীয় সময়ে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ইউক্রেনের ৬টি এলাকায় সংঘর্ষবিরতি (ceasefire) বজায় রাখার কথা দিয়েছে রাশিয়া। কিভের কাছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরজিয়া এবং উত্তরপূর্ব ইউক্রেনের একাধিক এলাকায় ওই নির্দিষ্ট সময় সংঘর্ষ বন্ধ রাখা হবে। সংঘর্ষবিরতির সুযোগে শহর ছেড়ে নিরাপদ এলাকায় যাচ্ছেন বাসিন্দারা। যুদ্ধে ইতিমধ্যেই দেশছাড়া হয়েছেন প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ।
বুধবারই তুরস্ক যাচ্ছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ (sergei lavrov) সেখানে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার (dmytro kuleba) সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা।
এর মাঝেই মঙ্গলবার রাশিয়ার তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জো বাইডেনের মার্কিন সরকার। রাশিয়ার জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস কোনও কিছুই আমদানি করবে না আমেরিকা, জানিয়েছেন জো বাইডেন। যদিও আমেরিকা রাশিয়ার জ্বালানি তেলের উপর খুব একটা নির্ভর করে না। রাশিয়ার খনিজ তেলের উপর অনেক বেশিমাত্রায় নির্ভরশীল গোটা ইউরোপ। তবে ইউরোপের কোনও দেশ এখনও রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।