বাংলাদেশে শান্তি এবং সম্প্রীতির আবহে বসবাস করেন সকলে। প্রতিটি ধর্মের মানুষ। এমনটাই দাবি করলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর আসন্ন ভারত সফর প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা জানান, দেশে সংখ্যালঘুদের উপর কোনও অত্যাচার ঘটলে তাঁর দল এবং প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করে।
শেখ হাসিনা এই কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, আর পাঁচটা দেশের মতোই বাংলাদেশেও ধর্মীয় উগ্রপন্থা রয়েছে। ভারতেও এই সমস্যা আছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে, তাঁর সরকার যে উগ্রপন্থার সঙ্গে আপস করবে না, সেটাও জানান তিনি।
সে দেশের সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে হাসিনা বলেন, “আমরা যখন থেকে ক্ষমতায় আছি, তখন থেকে দেশের সংখ্যালঘুদের বলেছি যে, আপনারা দেশের নাগরিক। আপনারা নিজেদের দেশেই বসবাস করছেন। নিজেদের দুর্বল বলে মনে করার কোনও কারণ নেই।”
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)। তিনদিনের এই সফরে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) নিয়ে ১৩২০ মেগাওয়াটের মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশন (Maitree Power Project ) যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন বলে সূত্রের খবর। কয়লা ভিত্তিক কেন্দ্রটি ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড তৈরি করেছে। ১.৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশে বারংবার সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের ১৫ জুলাই সে দেশের নড়াইলের সাহাপাড়া অঞ্চলে এক দল মানুষ হিন্দুদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেন। এই প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের যুক্তি ছিল, তাঁদের এক হিন্দু প্রতিবেশী ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করেছেন। বাংলাদেশের সর্বশেষ জনগণনা অনুযায়ী সে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা ১৩.৫ শতাংশ থেকে কমে ৮.৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে।