শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka crisis) ফের জারি হল জরুরি অবস্থা। মধ্যরাত থেকেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapoakshe)। এর আগেও অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka crisis)। বর্তমানে ওই দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কটের পাশাপাশিই চলছে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও। কিছুদিন আগেই বিরোধী দলগুলি প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। তিনি তাঁর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি বলেও অভিযোগ ওঠে।
শুক্রবার সকাল থেকে দেশ জুড়েই শুরু হয়েছে ধর্মঘট (Sri Lanka crisis)। কর্মবিরতি পালন করছেন পড়ুয়ারা-সহ ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ (Emergency in Sri Lanka)। শুক্রবার সকালে পড়ুয়ারা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টাও করেন। কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ছুড়ে তাঁদের নিরস্ত করে শ্রীলঙ্কার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কাকে 'অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া' বলেও ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট (Sri Lankan president)।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ১০২৬ টাকা, আরও ৫০ টাকা বাড়াল রান্নার গ্যাসের দাম, চাপে মধ্যবিত্ত
এই মুহূর্তে দেশের অবস্থা ভয়াবহ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে জ্বালানি, কৃষইর সার সবকিছুরই দাম নাগালের বাইরে।
শুক্রবার সকাল থেকেই দেশজুড়ে নতুন করে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শ্রীলঙ্কার আমজনতা। ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে ধর্মঘটে শামিল হয়ে কলকারখানায় লক্ষ লক্ষ কর্মী কাজে যোগ দেননি। কলকারখানায় কালো পতাকাও ঝুলিয়ে দিয়েছেন অসংখ্য কর্মী। গণপরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা শুক্রবারের ধর্মঘট সমর্থন করেছেন। এর জেরে বন্ধ ছিল ট্রেন-বাসের মতো পরিষেবা।