মহাকাশে আটকে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। তাঁদের পৃথিবীতে ফেরানোর সমস্ত রকম চেষ্টা চলছে, কিন্তু একের পর এক বাধাও আসছে। সুনীতাদের ফেরানোর জন্য যে যান পাঠানোর কথা, তা নাকি পড়তে পারে প্রবল সাইক্লোনের মুখে।
মহাকাশে আটকে পড়া সুনীতা এবং বুচকে উদ্ধার করতে যাওয়ার এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে 'ক্রু-৯ মিশন'। ২৬ সেপ্টেম্বরই সেই দিন। ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের যান রওনা দেবে মহাকাশের উদ্দেশে, আর ঠিক সেই সময় বড় সাইক্লোন আসার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঝড় এলে পিছিয়ে যাবে সুনীতাদের রেস্কিউ মিশন। 'ট্রপিক্যাল সাইক্লোন নাইন' নামে এই ঘূর্ণিঝড় মেক্সিকো এবং ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে ল্যান্ডফল করবে বলে হবে বলে আঁচ করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরতে আরও মাস পাঁচেক। ২০২৫ এর ফেব্রুয়ারির আগে ফেরা হবে না। তার আগে পর্যন্ত মহাকাশেই গবেষণার কাজে মন দেবেন সুনীতা এবং বুচ। কিন্তু সাইক্লোন এলে, আরও পিছিয়ে যেতে পারে ফিরে আসা।
৯ দিনের জন্য গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। দিনটা ছিল ৫ জুন, ২০২৪। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে সাড়ে তিন মাস। ফেরা হয়নি। মহাকাশযান বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়ে মহাকাশে রওনা দিয়েছিলেন সুনীতারা। আচমকাই একটি দুর্ঘটনায় বদলে যায় পরিস্থিতি। মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। মহাকাশযান থেকে হিলিয়াম গ্যাস লিক হওয়ায় পৃথিবীতে ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না। দু’বারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
মহাকাশে দীর্ঘ দিন থাকলে মহাকাশচারীরা যে সমস্ত শারীরিক সমস্যায় পড়েন, সুনীতা এবং বুচও সেই সমস্যার মুখোমুখি হতে শুরু করেছেন। পেশি শিথিল হয়ে এসেছে। হাড় ক্ষয়ে যাওয়াও শুরু হয়েছে। তবে এগুলি মহাকাশচারীদের চেনা অসুস্থতা। এগুলো খুব গুরুতর নয়। মহাকাশে খোশ মেজাজেই আছেন ৫৮ বছরের সুনীতা এবং তাঁর সহকর্মী বুচ।