মৃত্যু মিছিল এমন হয় ? তুরস্ক ও সিরিয়াকে দেখে এটাই প্রশ্ন গোটা বিশ্বের। মানুষ ঘুমতে যাচ্ছেন একটা সংখ্যা জেনে। ঘুম ভাঙলে দ্বিগুণের বেশি হয়ে যাচ্ছে সেই সংখ্যাটা। থেমে যাবে এমনটা কিন্তু এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ গত বাহাত্তর ঘণ্টায় এই নিয়ে পাঁচবার কেঁপেছে দু দেশের বিভিন্ন জায়গা। তুরস্ক ও সিরিয়া দু দেশই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ঘটনাস্থলে বাকিদের সঙ্গেই কাজ করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীরা। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন করে কম্পন হলেও দু দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা কমবেশি ১২ থেকে ১৫ হাজারে যেতে পারে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে যে দেহ মিলিছে, তার রেকর্ড থাকলেও, হদিশ নেই আহতদের। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও ত্রাণ নিয়ে আঙ্কারায় হাজির ভারতের দুটি গ্লোবমাস্টার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল বলেই পরিচিত সিরিয়া। গত শতাব্দীতেও একাধিক মাটি কাঁপার শিকার হয়েছে এই দেশ। তবে, এবার যাবতীয় ঘটনাকে ছাপিয়ে গেল। এই ঘটনায় তুরস্কের যেটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হল, তা হল পর্যটন। একটি হিসাব বলছে, করোনা পরবর্তী সময় গত আর্থিক বছরে পর্যটন থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছিল তুরস্ক। এবারও অনেক পরিকল্পনা ছিল সরকারের।
বর্তমান সময়ে আঙ্কারায় আসেন বিভিন্ন দেশের পর্যটক। বসে বিয়ের আসরও। বিশেষকরে ভারত থেকে অনেকেই এখন বিয়ে করতে যান তুরস্কে। কিন্তু এবারের ভূমিকম্প যেন তুরস্কের অর্থনীতিকেও নড়িয়ে দিয়ে গেল।