বড়লোকেরা ঠিক কতটা বড়লোক- তা নিয়ে মধ্যবিত্তের জল্পনার অন্ত নেই। এই কৌতুহল চিরন্তন। সম্প্রতি আম্বানিদের বিয়েকে কেন্দ্র করে সেই আলোচনা নতুন করে সার জল পেয়ছে৷ শুধু শিল্পপতিরাই বা কেন, ধনী অভিনেতা অভিনেত্রীদের সংখ্যাও তো অনেক। টেলর পেরি, শাহরুখ খান, জর্জ লুকাসের মিলিওনিয়ার, বিলিওনিয়ার তারকারা আছেন৷ কিন্তু এনারা সকলেই তো বাস্তব চরিত্র। বড়লোক, ভীষণ বড়লোকরা আছেন কল্পনার জগতেও৷ এমন কয়েকজন ফিকশনাল ধনী হলেন, ব্রুস ওয়েন, টনি স্টার্ক, ক্রিশ্চিয়ান গ্রে। কিন্তু এমন একজন ফিকশনাল ধনী আছেন, যিনি ট্রিলিয়নেয়ার, যাঁর ভল্টে উপচে পড়ে সোনা।
ডিজনি অ্যানিমেটেড ইউনিভার্সের স্ক্রুজ ম্যাকডাককে (Scrooge McDuck) বলা হয় সবচেয়ে ধনী ফিকশনাল চরিত্র।২০১৩ সালে ফোবর্স তাঁকে ১৫ জন ফিকশনাল ধনীর তালিকার শীর্ষে জায়গা দেয়। ম্যাগাজিনটির বিচারে সেই সময় (২০১৩ সাল) ম্যাকডাকের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৬৪ বিলিয়ন ডলার। যদিও অনেকের দাবি এই সংখ্যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ ম্যাকডাকের সম্পত্তি আরও অনেক বেশি৷ কারণ তাঁর একটি বহুতল ভল্ট আছে, যা সোনায় পরিপূর্ণ।
ইউটিউব চ্যানেল ফিল্ম থিওরিস্ট ম্যাকডাকের সম্পত্তি নিয়ে কিছু গবেষণা করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে সবচেয়ে রক্ষণশীল হিসাবেও ম্যাকডাকের সম্পত্তি ১২ ট্রিলিয়ন ডলার বা ১০০ লাখ কোটি টাকা। উল্লেখ্য ভারতের মোট সম্পত্তি ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ম্যাকডাকের সম্পদের ২৫ শতাংশ। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের চেয়েই ম্যাকডাক বেশি ধনী৷
এলন মাস্ক ছাড়া বাস্তব জগতের আর কেউ ম্যাকডাকের সঙ্গে সম্পদের বিচারে টক্কর দিতে পারবেন না৷ যদি সবচেয়ে রক্ষণশীল হিসাবকেই মাথায় রাখা হয়, তাহলেও ২৩৯ বিলিয়ন ডলার মালিক ম্যাকডাক পিছনে ফেলে দিচ্ছেন জেফ বেজোস, মার্ক জাকারবার্গ, বিল গেটসদের৷ আর যদি ম্যসকডাকের সম্পদ ১২ ট্রিলিয়ন ডলার ধরা হয়, তাহলে এলন মাস্কও তাঁর চেয়ে কম ধনী৷ এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির চেয়ে ১০০ গুণ ধনী ম্যাকডাক, এলন মাস্কের চেয়ে তাঁর সম্পদ ৫০ গুণ বেশি।