ফের শিরোনামে বাংলাদেশ। ঢাকা আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই কট্টর জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল তাঁর সঙ্গীরা। ওই দুই জঙ্গি মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনে অভিযুক্ত। ওই দুই জঙ্গির নাম মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। রবিবার এই ঘটনা ঘটে। তাঁদের সন্ধানে ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা করেছে র্যাব।
জানা গিয়েছে, ময়মনসিংহের সিজেএম আদালতের বাইরে ভিড়ের মধ্যে মিশে তিনটি মোটরবাইক জঙ্গিদের আসার অপেক্ষা করছিল। জঙ্গি সিফাত ও সাকিবকে নিয়ে পুলিশ বাইরে আসতেই তাঁদের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো গোলা জল বা কোনও রাসায়নিক স্প্রে করা হয় বলেই খবর। সঙ্গে শুরু হয় এলোপাথাড়ি মারধর। তার মধ্যেই এক বাইক আরোহী ২ জঙ্গিকে বাইকে তুলে চম্পট দেয়। বাকিরাও দ্রুত অন্য ২টি বাইকে চড়ে আদালত চত্বর থেকে নিমেষে উধাও হয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে একুশের বইমেলায় মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায় এবং অক্টোবর মাসে জাগৃতি প্রকাশনের মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গীরা। যাদের মধ্যে এই দুই জঙ্গিও ছিল বলেই খবর। ধরা পড়ার পর পুলিশের কাছে তারা এই খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। পাশাপাশি, আরও বেশ কিছু প্রগতিশীল ও মুক্তমনা লেখক ও সমাজকর্মীকে খুনের পরিকল্পনার কথা জানায় তাঁরা। পরবর্তীতে দু’টি হত্যা মামলাতেই ফাঁসির রায় হয় সিফাত ও সাকিবের। ঘটনার পরে গোটা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন। দেশের সমস্ত আদালতে পাহারা বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গিরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে না ঢুকতে পারে, তার জন্য বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করেছে হাসিনা সরকার।
যদিও বাংলাদেশে কয়েদী ছিনতাইয়ের ঘটনা নতুন নয়। ২০১৮ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দিনদুপুরে প্রিজন ভ্যানে বোমা মেরে তাদের তিন সদস্যকে ছিনিয়ে নেয় জেএমবি।