আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা হয়েছিল শনিবার সকালে। তাতে কতোটা বদলাল ইউক্রেনের পরিস্থিতি? আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার ছবি, আর ইউক্রেনবাসীর বয়ান বলছে, নামেই যুদ্ধবিরতি। রাশিয়ার তরফে অবিরাম বোমাবর্ষণ জারি রয়েছে, পরিস্থিতি তেমন বদলায়নি।
ইউক্রেনে রুশ হামলায় যারাই গুরুতর জখম হচ্ছেন, সকলকে নিয়ে আসা হচ্ছে সে দেশের বন্দর শহর মারিউপোলে। সে শহরেও অনবরত চলছে বোমা বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সুপারমার্কেট। বৃহস্পতিবার থেকে খুলেছে মুদিখানার দোকান। বাইরে দিনরাত লম্বা লাইন।
সভিয়াতোস্লাভ বোরোদিন, সেরকমই এক বিস্ফোরণের মধ্যে কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছেন। তার সঙ্গীরা অনেকেই বেঁচে নেই। মারিউপোলের এক হাসপাতাল এখন বোরোদিনের ঠিকানা। বোরোদিনের মতো একজন, দুজন নয়, রাতদিন সেই হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছেন ইউক্রেনের আহত মানুষ। ডঃ এভজেনিই দুবরভ জানিয়েছেন, "বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গিয়েছে। তারমধ্যেও আমরা কাজ করে চলেছি। সাত দিনের বেশি হয়ে গিয়েছে, আমরা বিরতি নিইনি, টানা কাজ করছি"।
টানা ১০ দিন যুদ্ধের পর শনিবার সকালে সাময়িক যুদ্ধবিরতি(Ceasefire) ঘোষণা করেছিল রাশিয়া(Russia)। ইউক্রেনে(Ukraine) আটকে থাকা নিরাপরাধ নাগরিকদের(Common People) জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছিল। তার আগে পর্যন্ত ইউক্রেনের শহরগুলোয় ধ্বংসলীলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের হাড় হিম করা ঠান্ডায় খাদ্যাভাবে, পানীয়াভাবে ভুগেছেন কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। বিস্ফোরণে জখম হওয়া শিশুদের বাঁচাতে না পেরে অসহায় কত কত চিকিৎসক। আন্তর্জাতিক নানা সংবাদসংস্থার ক্যামেরার ধরা পড়েছে চরম অসহাওয়তার ছবি। সেই ছবি এতটুকু বদলায়নি আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও।