উত্তর রোমানিয়ার(North Romania) সুসেভার একটি রেলস্টেশনে তাঁর কিশোর ছেলের সঙ্গে ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন ৪৪ বছর বয়সী এলেনা ইউরচুক(Elena Yurchuk)। সদ্য পালিয়ে এসেছেন ইউক্রেনের(Ukriane) যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর চেরনিহিভ(Chernihiv) থেকে। এখনও কাটেনি আতঙ্ক। চোখেমুখে লেগে আছে দুশ্চিন্তা। এর মধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন(Ukraine-Russia War) থেকে প্রাণ হাতে করে পালানোর রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন তিনি।
ইউরচুক(Elena Yurchuk) জানান, ঠিক তাঁদের পেছনের গাড়িতে থাকা শিশুসহ একটি পরিবারকে কীভাবে বোম দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি তিনি যে হাসপাতালে(Hospital) নার্স হিসেবে কাজ করতেন, ক্রমাগত রুশ হামলার মুখে, সেই হাসপাতালও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
আরও পড়ুন- Ukraine-Russia War: আন্তর্জাতিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল, এবার ইউক্রেনের ধর্মীয় স্থানেও হামলা রাশিয়ার
'আমাদের কোথাও ফেরার নেই, কারণ ইউক্রেনে(Ukraine Crisis) আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।' কান্নাভেজা গলায় জানান এলেনা ইউরচুক। তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে বিদ্যুৎহীন চেরনিহিভ(Chernihiv) এক ভূতের শহরে পরিণত হয়েছে।
এলেনা এখন নিজেদের চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন জার্মানিকে(Germany)। সেখানে গিয়ে তিনি আবার নার্সের কাজ শুরু করবেন বলে আশা রাখছেন।
তবে শুধু এলেনা নয়, এরকম লক্ষ লক্ষ মানুষ রাশিয়ার আক্রমণের(Russian Attack) মুখে শেষবারের মতো বিদায় জানাচ্ছেন নিজেদের জন্মভূমিকে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার(United Nations Refugee Agency) মতে, ইতিমধ্যেই প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।