'একমুখ দাড়ি-গোঁফ, অনেককালের কালো ছোপ ছোপ' গেয়েছিলেন সুমন। মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফকে কোনওদিনই সৌন্দর্যের মাপকাঠি হিসেবে পাত্তা দেওয়া হয় না। হয়নি। কিন্তু, তা তো পুরুষদের ক্ষেত্রে। শারীরিকভাবেই যাদের হরমোনের প্রভাবে দাড়ি-গোঁফ তৈরি হয়। কিন্তু, এমনটা যদি হয় মহিলাদের ক্ষেত্রে? তাহলে তা যে সমাজের চিরাচরিত দৃষ্টির কাছে খুব 'সুখপ্রদ' নয়, এমনটা বলাই যায়। তা নিয়েই এগিয়েছেন আমেরিকার ৩০ বছর বয়সি যুবতী ডাকোটা কুকি। ১৩ বছর বয়স থেকেই মুখে 'অস্বাভাবিক' দাড়ি-গোঁফ বৃদ্ধি লক্ষ করেন তিনি। ওয়াক্সিংকরে এবং দিনে দু'বার শেভিং করেও সেই বৃদ্ধি আটকানো যায়নি। বরং, যত সময় গিয়েছে তত ঘন হয়েছে তাঁর দাড়ি।
তিনি বলেন, 'আমি যে সময় বেড়ে উঠছিলাম, সেই সময় মুখের অতিরিক্ত কেশ নিয়ে মহিলাদের মধ্যে এতটাই সংশয় ও দ্বিধাগ্রস্থতা ছিল যে, আমাকে অনেকেই বারবার বোঝাতেন, কেন এটা আমার জন্য ভালো নয়'!
বিষয়টি নিয়ে বহু বছর 'লড়াই' চালাতে হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসকদের কাছে গিয়েও তেমন ফল পাননি। বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেও তাঁরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ডাকোটাকে। অ্যাড্রেনালিন গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণের কারণেই এই সমস্যা বলে জানান চিকিৎসকরা।
২০১৫ সালে বন্ধুর কথায় সার্কাস শো'তে যোগ দেন তিনি। এই বিষয়ে। ডাকোটার মত, 'বিষয়টা বেশ মজারই ছিল তখন'।
তবে, সব সংশয়েরই শেষ হয় এক সময়। তেমন দিন এসেছিল ডাকোটার জীবনেও। দাড়ি বেড়েছে তার নিজস্ব ছন্দে। ও নিয়ে আর কখনও ভাবেননি তিনি।