প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের(Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীলঙ্কার(Sri Lanka) মানুষ।
জানা গেছে, প্রায় ৫ হাজার মানুষ তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন। তাঁদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও বাধে বিক্ষোভকারীদের(Agitators)। পরিস্থতি সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ। অবস্থা হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই বিশেষ টাস্ক ফোর্স(Task Force) ডাকতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
এই বিক্ষোভের ঘটনায় এক মহিলা-সহ মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত রাতে মিরিহানা, নুগেগোডায় বিক্ষোভের(Agitation) পরে এক জন এএসপি সহ পাঁচ পুলিশ অফিসার আহত(Police Officer injured) হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশের(Police) একটি বাস, একটি জিপ, দু’টি মোটরবাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি জলকামান(Water Cannon)। যদিও এই ঘটনার পর কলম্বোর(Colombo) বিভিন্ন জায়গায় কার্ফু জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Ukraine crisis: ইস্তানবুলে ইউক্রেনের প্রস্তাবকে 'ইতিবাচক' বলার পরেও ঠেস দিতে ছাড়ল না রাশিয়া
গত এক সপ্তাহ ধরে ভয়ানক অর্থনৈতিক সঙ্কটের(Financial Crisis) মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা(Sri Lanka)। দেশে জ্বালানির হাহাকার। বন্ধের মুখে গণপরিবহণ। জ্বালানি খরচ বাঁচাতে ১০-১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং(Load Shedding) করা হচ্ছে দেশ জুড়ে। শুধু তাই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে(Price Rise) দিশেহারা সাধারণ মানুষ।
রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের বড় ভাই মাহিন্দা(Mahinda) প্রধানমন্ত্রী, ছোট ভাই বাসিল(Basil) অর্থমন্ত্রী, ভাগ্নে নামাল(Namal) ক্রীড়ামন্ত্রী, আর বড় ভাই চামাল(Chamal) কৃষিমন্ত্রী। তবে এই বিক্ষোভের সময় রাষ্ট্রপতি বাড়িতে ছিলেন না বলেই জানা গেছে।
কলম্বো ২০২০ সালে আমদানি নিষিদ্ধ করে বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ(conserve foreign currency) করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর জন্য সরকারী ঋণ বৃদ্ধির ফলে বর্তমান সংকটের সূত্রপাত। কিন্তু তারপর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতি(shortage of essentials) দেখা দেওয়ায় চরম মূল্যবৃদ্ধির খেসারত দিতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাবাসীকে।