শুক্রানু বদল, কোনওদিন শুনেছেন ? বাস্তবে এমনই ঘটেছে আমেরিকায় । নিতান্তই, খেলার ছলে জিনগত পদ্ধতিতে ছেলের পিতৃ পরিচয়ের পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন বাবা-মা । কিন্তু, পরীক্ষার ফল দেখেই মাথায় হাত দম্পতির । ১২ বছর পর বাবা জানতে পারলেন, ছেলে তাঁর সন্তানই নন । কীভাবে এমন হল ? কারণ খুঁজতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ দম্পতির ।
আমেরিকার ইউটার বাসিন্দা ভার্নর জনসন ও তাঁর স্ত্রী ডনা । দম্পতি জানিয়েছেন, জিনগত পরীক্ষার মাধ্যমে পিতৃপরিচয় নির্ণয় করার ছাড় দিচ্ছিল এক সংস্থা । সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে খেলাচ্ছলেই ২০১৯ সালে নিজেদের বিবাহবার্ষিকীতে ছেলের পিতৃ পরিচয়ের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু, সেই পরীক্ষার ফলে বলা হয়, ছেলের বাবা ভার্নর নন । তাহলে তাঁর সন্তানের বাবা কে ? আর স্বাভাবিকভাবেই তা, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে প্রভাব ফেলতে শুরু করে । পরে তাঁরা ছেলের আসল বাবা খোঁজার জন্য তৎপর হন । কীভাবে এমন হল, তা জানতে গিয়ে চোখ কপালে দম্পতির ।
জানা গিয়েছে, ‘আইভিএফ’ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ছেলের জন্ম দিয়েছিলেন আমেরিকার ওই দম্পতি । যে ক্লিনিকে তাঁরা দেখিয়েছিলেন, সেখানেই যোগাযোগ করেন । বেশ কয়েকবছর পর জানা যায়, তাঁদের ছেলের বাবা ডেভিন ম্যাকনেল । সেইসঙ্গে উঠে আসে আরেকটি তথ্য । জানা গিয়েছে, শুক্রানু বদল হয়েছে । ডনার ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার জন্য স্বামী ভার্নরের শুক্রাণুর বদলে ‘ভুলবশত’ ডেভিনের শুক্রাণু দিয়ে দেন । আর তাতেই যত বিপত্তি ।
গোটা বিষয়টি জানার পর, ছেলের প্রতি ভালবাসা এতটুকু কম হয়নি ভার্নরের । বরং দুই বাবারই স্নেহ পাচ্ছে তাঁর সন্তান । ভার্নর জানিয়ে দিয়েছেন, ছেলের প্রতি ভালবাসায় কোনওদিন এতটুকু ঘাটতি আসবে না ।