ইরাকের রক্ষণশীল সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইউটিউবে নাম করতে শুরু করেছিলেন টিবা আলি খান, বয়স ২২ বছর। থাকতেন তুরস্কে, সঙ্গে থাকতেন প্রেমিকও। সম্প্রতি চ্যানেলেই প্রেমিকের সঙ্গে নিজের বাগদানের কথা জানিয়েছিলেন টিবা৷ টিবার 'কথায়' কত মানুষের ক্ষতয় পড়ত প্রলেপ। তবু শেষ রক্ষা হল না। তিনিই নাকি হয়ে উঠলেন পরিবারের লজ্জা। খুন হতে হল বাবার হাতে। ৫ বছর পর তুরস্ক থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন টিবা। ইউটিউবার মেয়ে বাড়ি ফিরতেই শুরু হয় অশান্তি। শেষে স্বাসরোধ করে মেয়েকে খুন করেন বাবা। পুলিশের কাছে গিয়ে তার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি 'লজ্জা ধুয়ে ফেললাম'।
এই ঘটনা শুনে কার্যত হতবাক ইরাক পুলিশ। খবর নিমেষে ছড়িয়ে দাবানলের মতো। শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। জানা যায় শুধু খুন হননি তিনি, যৌন হেনস্থাও করা হয়েছিল তাঁকে। ৫ বছর আগে পরিবারের সঙ্গে তুরস্কে গিয়েছিলেন টিবা। আর ফিরতে চাননি, তখন থেকেই ক্রুদ্ধ পরিবার। শেষমেশ বাড়ি ফিরলেন টিবা, কিন্তু বাঁচতে পারলেন না।