ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক (Team India) বিরাট কোহলির (Virat Kohki) সাংবাদিক বৈঠকের পর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। এই আবহে একবার দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় ক্রিকেটের সাড়া জাগানো বিতর্কগুলিকে।
বিরাট বনাম কুম্বলে
রবি শাস্ত্রীকে যে বিরাট অত্যন্ত পছন্দ করেন, তা সকলেরই জানা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সাল নাগাদ স্পষ্ট হয়ে যায় যে, অনিল কুম্বলের সঙ্গে তিনি কাজ করতে চাইছেন না। টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসাবে কিছু মাস কাজ করার পর কুম্বলেকে আচমকাই সরিয়ে দেওয়া হয়। খবরে ও্রকাশ, অধিনায়ক বিরাট এবং কোচ কুম্বলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলেন। ভবিষ্যতেও তাঁদের একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
Virat Kohli : ওডিআই খেলতে চান, একদিনের দলের অধিনায়কত্ব হারানোর কথা আগে জানতেন না; আর কী বললেন বিরাট?
সৌরভ বনাম গ্রেগ
২০০৫-০৬ মরশুমে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে গ্রেগ চ্যাপেলের (Greg Chappell) বিবাদ গোটা দেশকে আলোড়িত করেছিল। কলকাতার রাজপথ থেকে দিল্লির সংসদ ভবন- সর্বত্র আলোচিত হয় এই বিতর্ক। সৌরভকে টিম থেকেই সরিয়ে অধিনায়ক করা হয় রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid)। পরে তীব্র গণঅসন্তোষের মুখে বিসিসিআই চ্যাপেলকে অপসারিত করে। তিনি দেশে ফিরে যান। সৌরভ আবারও টিমে কামব্যাক করেন৷
ধোনি বনাম শেহবাগ
২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর শুরু হয় ধোনি বনাম শেহবাগ বিতর্ক। শেহবাগ সহ কয়েকজনকে ধোনি (MS Dhoni) 'স্লো ফিল্ডার' বলে চিহ্নিত করেন। পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন শেহবাগ। অবস্থা সামাল দিতে ২০১২ সালের টি২০ বিশ্বকাপের আগে টিমের 'সংহতি' প্রমাণ করতে ধোনি গোটা দলকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে আসেন।
গাভাসকর বনাম কপিল
কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকার (Sunil Gavaskar) এবং কপিল দেবের (Kapil Dev) মধ্যে ব্যক্তিত্বের সংঘাত শুরু হয় ১৯৮৪-৮৫ সালে। আগের বছর, ১৯৮৩ সালে কপিলের নেতৃত্বে ভারত প্রথম বিশ্বকাপ জিতে নেয়। কিন্তু পরের মরশুমের গাভাসকারের অধিনায়কত্বে টিম থেকে বাদ পড়েন কপিল। এর প্রেক্ষিতে কলকাতায় দর্শকদের ব্যাঙ্গ শুনতে হয় সুনীলকে। গাভাসকার বলেন, তিনি আর কলকাতায় খেলবেন না। যদিও পরে গোটা বিষয়টিই অস্বীকার করেন তিনি।