বিশ্বমঞ্চে গর্বিত বাঙালি। বছর শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে UNESCO-এর স্বীকৃতি পেল কলকাতার দুর্গাপুজো। ১৩ ডিসেম্বর-১৮ ডিসেম্বর প্যারিসে ইন্টারগর্ভমেন্ট কমিটির ১৬তম অধিবেশন চলছে। সেই অধিবেশনে কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। UNESCO তাঁদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, "ধর্ম, শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সব কিছু মিলে যায় দুর্গাপুজোতে। গ্রাম থেকে শহর, সমাজের বিরাট অংশ এই দুর্গাপুজোতে যোগ দেয়। চলে ঢাকের বাদ্যি। ঐতিহ্য মেনে হয় মাতৃ আরাধনা। শ্রেণি, ধর্ম, জাতির উর্ধ্বে উঠে পালিত হয় দুর্গাপুজো।"
২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গের ছৌ-নাচ প্রথম UNESCO স্বীকৃতি পায়। শেষবার ২০১৭ সালে কুম্ভ মেলা UNESCO হেরিটেজের স্বীকৃতি পায়। তার আগে ২০১৬ সালে যোগচর্চাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়৷ তার আগে ২০১৪ সালে পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পিতল এবং তামার কারুকাজকে সাংস্কৃতিক হেরিটেজের স্বীকৃতি দেয় UNESCO। ২০১৩ সালে মণিপুরের সংকীর্তন অনুষ্ঠানের গানকে হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছিল৷
আরও পড়ুন: এ বছরও রেড রোডে হচ্ছে না দুর্গাপুজোর কার্নিভাল, জানাল নবান্ন
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুজো হলেও কলকাতার দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য আলাদা। প্রত্যেক বছর প্রাচীন রীতি ও ঐতিহ্য মেনে পালিত হয় দুর্গাপুজো। মহালয়া থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ। ষষ্ঠীর দিন হয় দেবীর বোধন। লক্ষ্মী, গণেশ, সবস্বতী ও কার্তিক- চার ছেলেমেয়ে নিয়ে চারদিন মর্ত্যে আসেন উমা। দশমীতে হয় বিসর্জন।