সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে (United Nations) পাকিস্তানকে (Pakistan) চাঁচাছোলা আক্রমণ ভারতের (India)। অধিকৃত কাশ্মীর (Kashmir) ছেড়ে দিক পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদ নিয়েও পাকিস্তানকে বেকায়দায় ফেললেন ভারতীয় প্রতিনিধি স্নেহা দুবে (Sneha Dubey)।
এদিন স্নেহা দুবে বলেন, "সবাই জানে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদের তালিকায় থাকা অনেক জঙ্গিদের আশ্রয়ও দিচ্ছে।" রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরব হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে জম্মু-কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস রদ, পাকপন্থী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি- একাধিক ইস্যু তোলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এর আগেও একাধিকবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতকে আক্রমণ করেছে ইসলামাবাদ। মদত দিয়েছে চিন। তবে কাশ্মীর ইস্যু তুলে কার্যত বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। জবাব দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করে স্নেহা দুবে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, "জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয়। এ নিয়ে কোনও আলোচনা কাম্য নয়। সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান। ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল। পাকিস্তানের নেতারা তাকে শহিদ আখ্যা দেয়।"
আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের রেকর্ড ভালো নয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধির আক্রমণে বেশ কিছুটা কোনঠাসা হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তালিবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্ককে মদত দেওয়ার অভিযোগও আছে। সূত্রের খবর, পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI,তালিবানদের কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর অশান্ত করার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে এদিন স্নেহা দুবে বলেন, "আন্তর্জাতিক মঞ্চে এর আগেও আন্তর্জাতিক মঞ্চ ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে পাকিস্তান। এটা সত্যি খুব দুর্ভাগ্যের বিষয়।"