শুক্রবার ঝাড়খণ্ড পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন মাওবাদীদের(Maoist) অন্যতম শীর্ষ নেতা প্রশান্ত বসু ওরফে কিসানদা। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রী শীলা মারান্ডিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রশান্ত মাওবাদীদের তাত্ত্বিক নেতা(Maoist Leader) হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মাওবাদীদের ইস্টার্ন রিজিওনাল ব্যুরোর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রবীণ এই মাওবাদী নেতা ২০০৪ সালে সিপিআই(মাওবাদী)(Maoist) হওয়ার আগে ভারতের মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার(এমসিসিআই)(MCCI) এর প্রধান ছিলেন।
BSF: পাঞ্জাবের পথেই হাঁটছে বাংলা, কেন্দ্রীয় নির্দেশে বিএসএফকে বাড়তি এলাকা ছাড়তে রাজি নয় রাজ্য সরকার
এর আগেও ঝাড়খণ্ডের সারান্ডার জঙ্গলে তাঁর খোঁজে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী(CRPF) এবং পুলিশ(Police)। কিন্তু প্রতিবারই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন। আদতে কলকাতার যাদবপুর(Jadavpur) এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত বসু ১৯৭৩ সাল থেকেই ঘরছাড়া ছিলেন। তিনি কিসানদা ছাড়াও নির্ভয়, কিসান, কাজল এবং মহেশ নামে পরিচিত।
প্রশান্তর স্ত্রী শীলা মারান্ডি মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ঝাড়খণ্ড পুলিশের হাতে শুক্রবার তিনিও গ্রেফতার হয়েছেন। প্রশান্ত বসুর স্ত্রী শীলা মারান্ডিও একজন শীর্ষ মাওবাদী নেত্রী এবং বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির (সিসি) সদস্য। তিনি এর আগে ২০০৬ সালে ওড়িশায় গ্রেপ্তার হন। প্রায় পাঁচ বছর আগে তিনি সিপিআই (মাওবাদী) তে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি সারাদেশে সিপিআই মাওবাদীর সাথে সম্পৃক্ত মহিলা সংগঠনগুলির গাইড ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। শীলা মারান্ডি আদতে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার বাসিন্দা। শীলা ছাড়াও তিনি হেমা, আশা, বুধনি এবং গুড্ডি নামে পরিচিত।
৭৫ বছরের প্রশান্ত বসু শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। ঝাড়খণ্ড পুলিস তাঁর মাথার দাম রেখেছিল ১ কোটি টাকা। শুক্রবার প্রশান্ত বসু ধরা পড়ে গেলেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের হাতে।