হীরকজয়ন্তী বর্ষে এসে বাবুবাগানের মণ্ডপ যেন আস্ত এক লাইব্রেরি! দুর থেকে দেখলে লাইব্রেরি না মন্ডপ, তা বোঝা ভার। বাংলার নবজাগরণে নিবেদিতপ্রাণ মনীষীদের শ্রদ্ধা জানাতেই এই অভিনব থিম। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মতো মনীষীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এঁদের ঐকান্তিক লড়াইয়ের ফলেই বাংলার সমাজব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিল।
এইসব ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের লেখা বই আর তাঁদের সম্পর্কে লেখা বই দিয়ে বাবুবাগানের এবারের মণ্ডপ কাম লাইব্রেরি সাজানো হয়েছে। শুধু ব্যক্তিত্বই নয়, যে সব সংগঠন বাংলার নবজাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তাদেরও কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে স্মরণ করা হয়েছে। পুজোকমিটি বাদ দেয়নি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁর লেখা বই এবং তাঁকে নিয়ে লেখা বইও স্থান পেয়েছে বাবুবাগানের লাইব্রেরিতে। এবারে তাঁদের বাজেট প্রায় ৩০-৩৫লাখ টাকা। শিল্পী সনাতন পাল গড়ছেন মা দুর্গার মূর্তি। পুজোর আবহ সংগীত রচনা করেছেন কল্যাণ সেন বরাট। থিমের পরিকল্পনা করেছেন অধ্যাপিকা সুজাতা গুপ্ত।
সুজাতা গুপ্ত, কোষাধ্যক্ষ (02:43-03:43)
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মণ্ডপে স্যানিটাইজেশন, থার্মাল স্ক্রিনিং-এরও ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনে দর্শনার্থীদের দু’টো ডোজ টিকার সার্টিফিকেটও দেখাতে হতে পারে।