পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দাঁইহাটে বিজেপির কর্মিসভায় ধুন্ধুমার। বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সামনেই হাতাহাতি, মারামারিতে জড়ালেন গেরুয়া শিবিরের দুই দল কর্মী, সমর্থকরা। জেলাস্তরের বিজেপি নেতাদের গায়েও হাত পড়ে। দলের পদাধিকারীদের মাটিতে ফেলে ধরে বেদম মারধর করা হয়। দিলীপ ঘোষকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিও। তিনি হুমকি দেন, বিক্ষোভকারীরা নিরস্ত না হলে তিনি লাঠিচার্জ করাবেন। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেন। এই অবস্থায় দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওরকমে বিক্ষোভকারীদের সভাস্থল থেকে বের করে দরজা বন্ধ করে দেন।
শুক্রবার ঝামেলার সূত্রপাত পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষকে ঘিরে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বিজেপির জেলা সভাপতি দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁকে সরানোর দাবি উঠলেও, কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এদিন দাঁইহাটে সাংগঠনিক বৈঠকের ডাক দেয় বিজেপি। সেখানে আসার কথা ছিল রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই দুই নেতার আসার আগেই, সভাস্থলে ঢুকে পড়ে ৩০-৩৫ জনের বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের একটি দল। শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ মারধর করা হয় জেলা বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষকে। মারতে মারতে সভাস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয় কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি আনন্দ রায়কে।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌছন দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার। তখন দিলীপ ঘোষকে গো ব্যাক স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পাল্টা বিক্ষুব্ধ কর্মীদের পুলিশ দিয়ে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন দিলীপ ঘোষ। এরপর বিক্ষুব্ধদের সভাস্থলের বাইরে বের করে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ।