কোভিড (Covid-19) পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের সময় সঠিক ভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঠিকানা নথিভুক্ত করা হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ উঠছে রাজ্যের (West Bengal) বহু জেলায়। এর ফলে বিপদে পড়ছে স্বাস্থ্য দফতর। কারণ, কোভিড রোগীদের শনাক্তকরণে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। তাই এই বিষয়টিতে আরও গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমস্ত হাসপাতাল এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কোনও রকম শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে সরকার।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের চিঠিতে বলা হয়েছে, শুরু থেকেই অতিমারি নিয়ন্ত্রণে 'পরীক্ষা-শনাক্তকরণ-চিকিৎসা’র নীতি মেনে চলা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এ ক্ষেত্রে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কোভিড রোগীদের চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া। নমুনা সংগ্রহের সময় যদি ব্যক্তির ঠিকানা সঠিক ভাবে নথিভুক্ত না করা হয়, তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই রোগীকে খুঁজে বার করে চিকিৎসা করতে সমস্যা পড়তে হয়। এর ফলে একদিকে যেমন সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনই রোগীর খোঁজখবর নেওয়াও সমস্যাজনক হয়ে পড়ে। বিশেষ করে কলকাতার মতো বড় জায়গায় খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণের সঙ্গে বাড়ছে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা, জেলার শীর্ষে কলকাতা
সব আধিকারিকদের প্রতি স্বাস্থ্য ভবনের কড়া নির্দেশ, নমুনা সংগ্রহ করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পুরো ঠিকানা সঠিক ভাবে নথিভুক্ত করতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ঠিকানা লেখার সময় ওই ব্যক্তি কোনও পুরসভা, পুরনিগম না কি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা, তা উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ করতে হবে ওয়ার্ড নম্বর, স্ট্রিট নম্বর, কমপ্লেস্কের নাম, বাড়ি/ফ্ল্যাট নম্বর, পিন কোড নম্বর। সঙ্গে মোবাইল অথবা ল্যান্ডফোন নম্বর। অর্থাৎ যে কোনও সময় যাতে দ্রুত রোগীর কাছে পৌঁছনো যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: Avishek Banerjee: পজিটিভিটি রেট ১ শতাংশ, ডায়মন্ড হারবার মডেলের সাফল্য নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট অভিষেকের