আশঙ্কাই সত্যি হল। ভারতেই (India) প্রথম পাওয়া গেল করোনার (Corona virant) নতুন প্রজাতি এক্সই (Xe)-এর আক্রান্ত রোগী। বুধবার জানা গিয়েছে, করোনার এই নতুন প্রজাতিতে আক্রান্ত মুম্বইয়ের (Mumbai) এক বাসিন্দা। সরকারি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ৩৭৬টি স্যাম্পল টেস্ট করতে দেওয়া হয়। এরমধ্যে ২৩০ জন মুম্বইয়ের বাসিন্দা। জিনোম রিপোর্টের পর জানা গিয়েছে, ২২৮ জন আক্রান্ত ওমিক্রনে। একজনের শরীরে মিলেছে করোনার প্রজাতি কাপ্পা এবং এক জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি এক্সই-এর চিহ্ন।
গত ৩১ মার্চ থেকে দেশ থেকে করোনা বিধি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারপর থেকে দৈনিক সংখ্যার নিরিখে কখনও হাজারের উপর আবার কখনও হাজারের অনেক ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের অনেক আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিটি দেশকে এই এক্সই ভ্যাইরান্ট সম্পর্কে সাবধান করে।
মুম্বই পুরসভা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আক্রান্তদের মধ্যে ২১ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। যাঁদের অবশ্য অক্সিজেনের বাড়া-কমা নিয়ে এখনও কোনও সমস্যা নেই। হাসপাতালে ভর্তি ১২ জনের কোনও টিকাই নেওয়া নেই বলে পুরসভা সূত্রে খবর। আর বাকি নয় জনের দুটি করেই টিকা নেওয়া আছে। গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৩১ মার্চের পর থেকে দেশে কোনও করোনা বিধি থাকবে না। আগের মতোই সব কিছু খুলে যাবে। সেইমত ২৭ মার্চ থেকে চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। স্কুল-কলেজ থেকে অফিস-আদালত-- সবকিছুই চলছে আগের মতো করে। ফলে লোকাল ট্রেন থেকে অন্যান্য পরিবহনে নিত্যদিন বাড়ছে ভিড়। বাড়ছে ঘেঁষাঘেষি করা যাত্রীর সংখ্যা।
যদিও বিজ্ঞানীদের দাবি, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার স্বার্থে সবকিছু খুলে দেওয়া হলেও, সরকারকে মাথায় রাখতে হবে বিশ্ব থেকে এখনও করোনা ফুরিয়ে যায়নি। তাঁদের দাবি, প্রতি একমাস অন্তর নিজের রূপ বদলাচ্ছে করোনা। যার জেরে তৈরি হচ্ছে তার নিজস্ব প্রজাতি। সেই কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারত-সহ প্রতিটি দেশকে এই এক্সই প্রজাতি থেকে আগাম সতর্ক করেছিল। তাদের দাবি ছিল, ওমিক্রন রূপের বিএ.১ এবং বিএ.২ উপপ্রজাতির সংমিশ্রণের ফলেই পরিব্যক্ত এক্সই রূপটির উৎপত্তি। গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে এই ভাইরাসটি প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ৬০০টি এক্সই সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত ভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে সংক্রমণ ক্ষমতা প্রবল হলেও করোনাভাইরাসের নয়া রূপটির মারণক্ষমতা কম বলেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অনুমান।
এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতিটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমেরিকায় সাম্প্রতিক সংক্রমণের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাসটি দায়ী। সম্প্রতি হংকংয়ে শিশুদের উপরে করা একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য রূপের তুলনায় তো বটেই, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়েও বেশি গুরুতর সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম বিএ.২