কোভিডের (Covid 19) নয়া প্রজাতি 'নিওকোভ' (NeoCov Variant) নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। চিনা বিজ্ঞানীদের (Chinese Scientist) একটি দল তাঁদের গবেষণায় দাবি করেছে, প্রতি তিনজন সংক্রামিতের মধ্যে একজনের মৃত্যু হতে পারে এই নিওকোভ ভাইরাসে। তবে বিশ্বের বাকি বিজ্ঞানীরা কিন্তু এর সঙ্গে সহমত নন। তাঁদের দাবি, গবেষণায় যা এসেছে তার থেকে অনেক বেশি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে।
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এপিডিমিয়োলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির ডিরেক্টর অ্যালেকজান্ডার গিন্টসবার্গের মতে, ভাইরাসের ক্রমাগত মিউটেশনেই সৃষ্টি হয়েছে নিওকোভ। গামালেয়া সেন্টারের বায়োটেকনোলজি ল্যাবরেটরির প্রধান সের্গেই অ্যালকোভস্কি বলেন, "নিওকোভের আবিষ্কার নিঃসন্দেহে ভালো ব্যাপার। কিন্তু তা কতটা ক্ষতিকর, তা এখনই বোঝা কঠিন।"
চিনা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় জানানো হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়ের দেহে পাওয়া গিয়েছে নিওকোভ। সামান্য কিছু মিউটেশন ঘটিয়ে এটি মানুষের দেহেও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ২০১২ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে 'মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম' বা মার্স নামে একটি রোগ দেখা দেয়। সেটির সঙ্গে এর মিল রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে সংক্রমণ কমে ২ লক্ষ ৯ হাজার ৯১৮, মৃত ৯০০ পার
WHO জানিয়েছে, নিওকোভ নিয়ে কিছু বলার আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।বিশ্বের বাকি বিজ্ঞানী মহলের সঙ্গেও চিনের বিজ্ঞানীদের মতামত একেবারেই মিলছে না। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, মার্সের সঙ্গে মিল থাকায় এর মারণ ক্ষমতা অনুমান করে নেওয়া হয়েছে। তিনজন সংক্রামিতের মধ্যে একজনের মৃত্যুর আশঙ্কা নেহাতই আনুমানিক। গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা এখনও চলছে। এই মুহূর্তে মানুষের দেহে নিওকোভ প্রবেশের কোনও আশঙ্কা নেই।
ভারতের বিশেষজ্ঞ শশাঙ্ক জোশী টুইট করে জানান, "নিওকোভ পুরনো ভাইরাস। মার্সের সঙ্গে এর মিল রয়েছে। নিওকোভ এসিই২ রিসেপটরের সাহায্যে বাদুড়ের দেহে ঢুকতে পারে, কিন্তু মানুষের দেহে সে এভাবে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তার মিউটেশন ঘটছে। বাকি সবটাই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।"