ফের ভাইরাসের আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে। গ্রেট ব্রিটেন জানিয়েছে, বিশ্বের ৪০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের একটি নয়া উপপ্রজাতি। বিজ্ঞানীরা যার নাম দিয়েছে চোরা ওমিক্রন। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ধরা পড়েছে এই নয়া সাব স্ট্রেন। বলা হচ্ছে, এই নয়া প্রজাতির সংক্রমণ RTPCR পরীক্ষাতেও ধরা পড়ছে না। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, নয়া BA.2 ভ্যারিয়েন্ট ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে। গোটা বিশ্বে ওমিক্রনে আক্রান্তদের জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ৯৯ শতাংশ নমূনাতেই পাওয়া গিয়েছে এই সাব-স্ট্রেন।
কোথায় কোথায় ছড়িয়েছে এই স্ট্রেন
ব্রিটেন ছাড়াও এই নতুন উপপ্রজাতির ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে নরওয়ে ও সুইডেনে। প্রথম ফিলিপিন্সে ধরা পড়ে এই উপপ্রজাতি। ভারতেও ৫৩০টি নমুনায় ওমিক্রনের এই রূপ ধরা পড়েছে। সিঙ্গাপুরেও ১২৭ টি নমুনায় ওমিক্রনের উপপ্রজাতি BA.2 ধরা পড়েছে। এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। WHO জানিয়েছে কোভিডের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের এখনও পর্যন্ত তিনটি উপপ্রজাতি আছে। BA.1, BA.2 ও BA.3। যেখানে বলা হয়েছে BA.1 উপপ্রজাতি সবচেয়ে শক্তিশালী। BA.2 উপপ্রজাতির তাড়াতাড়ি সংক্রামিত হওয়ার ক্ষমতা আছে। ডেনমার্কেও এই উপপ্রজাতি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। সক্রিয় কোভিড রোগীদের অধিকাংশ ভাইরাসের এই উপপ্রজাতিতে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোভিড সংক্রমণ বাড়াচ্ছে ভারত, দাবি WHO-র
ভারত ও ফ্রান্সকে সতর্কবার্তা
দুই দেশেই করোনা সংক্রমণের একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়েছে। তাই ভারত ও ফ্রান্স নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, এই দুই দেশে ওমিক্রনের BA.1 সাব স্ট্রেইনকেও ছাপিয়ে যেতে পারে এই নতুন স্ট্রেইন।
কেন RTPCR পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না BA.2?
ওমিক্রনের এই নতুন উপপ্রজাতিতে স্পাইক না থাকায় তা ধরা পড়ছে না RTPCR পরীক্ষায়। এখনও পর্যন্ত ৩০ বার মিউটেশন হয়েছে কোভিডের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। কিছু উপপ্রজাতি RTPCR পরীক্ষাকে ফাঁকি দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন RTPCR পরীক্ষাতেই ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এর ওপরেই জোর দিতে বলা হচ্ছে।