করোনার (Covid) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও একধাপ। এবার শর্তসাপেক্ষে খোলা বাজারে (Open market) বিক্রি করা যাবে পুণের সেরাম ইন্সটিউটের (Seram instritute) কোভিশিল্ড (Covisheild) এবং হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। সোমবার সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের (Ani) খবর, এই ব্যাপারে দুই কোম্পানিকেই ছাড়পত্র দিয়েছে, ড্রাগ কল্ট্রোলার জেলারেল অব ইন্ডিয়া (DGCI)। তবে ওষুধের দোকানে নয়, এই টিকা কেনা যাবে হাসপাতাল এবং ক্লিনিক থেকে। এবং প্রতি ছয় মাসে অন্তর সরকারকে করোনার টিকা বিক্রির হিসাবও দেখাতে হবে। এমনকী সেই তথ্য তুলতে হবে কো-উইন অ্যাপেও (Cowin)। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই (Pti) আগেই জানিয়েছিল, খোলা বাজারে টিকার দাম হতে পারে সর্বোচ্চ ২৭৫টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সার্ভিস চার্জ বাবদ আরও ১৫০ টাকা।
গত বছর খোলা বাজারে টিকা বিক্রির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল পুণের কোম্পানি সেরা। তারও সাতদিন আগে কেন্দ্রের কাছে এই দাবি জানিয়েছিল হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক। অবশেষে, তাতে শর্তসাপেক্ষে সিলমোহর বসল।
বর্তমানে কোভ্যাক্সিনের প্রতি টিকার দাম ১২০০ টাকা। কোভিশিল্ডের প্রতি টিকার দাম ৭৮০টাকা। এর মধ্যে সার্ভিস চার্জ বাবদ ১৫০ টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু খোলা বাজারে টিকার দাম ২৭৫টাকার মধ্যেই রাখার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPa)-কে খোলা বাজারে টিকার দাম কত হতে পারে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, টিকার দাম যেন সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে থাকে।
দেশের জনসংখ্যার ৯২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের টিকাকরণ হয়েছে (অন্তত একটি টিকা)। জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পেয়েছেন জোড়া টিকা। তার মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ পেয়েছেন কোভিশিল্ড।