উই ওয়ান্ট জাস্টিস...উই ওয়ান্ট জাস্টিস... আরজি কর কাণ্ডে বিশ্বজুড়ে উঠছে আওয়াজ । কলকাতার নারকীয় ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে । গর্জে উঠছেন নারীরা । বাংলার আন্দোলনের আঁচ সর্বত্র । তাইতো যখন মধ্যরাতে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, স্লোগানে কেঁপে উঠেছিল বাংলার আকাশ, তখন মুম্বই, দিল্লি থেকে সুদূর আমেরিকাতেও বিক্ষোভে দেখিয়েছেন নারী-পুরুষে নির্বিশেষে । আর জি কর কাণ্ডে সুর চড়িয়েছে বলিউডও । ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আলিয়া ভাট, পরিণীতা চোপড়া থেকে কঙ্গনা রানাউত । আবার মেয়েদের জন্য কবিতা লিখেছেন আয়ুষ্মান খুরানা ।
আলিয়া ভাট সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, "আরেকটি নৃশংস ধর্ষণের ঘটনা । আবারও একটা উপলব্ধির দিন যে নারীরা কোথাও নিরাপদ নয় ।" দিল্লিতে নির্ভয়া কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে আলিয়া লেখেন । নির্ভয়া কাণ্ডের দশ বছর কেটে গিয়েছে । কিন্তু তারপরেও কিছু পরিবর্তন হয়নি । অভিনেত্রী এনসিআরবি ২০২২ গবেষণার একটি রিপোর্ট তুলে ধরেছেন । যেখানে দেখা গিয়েছে ২০২২ সাল থেকে মহিলাদের উপর অপরাধের সংখ্যা ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । যার মধ্যে ২০ শতাংশেরও বেশি ধর্ষণের ।
মেয়েদের জন্য কবিতা লিখেছেন আয়ুষ্মান । আর জি কর-এর ঘটনায় অভিনেতা ব্যথিত, হতাশ । কবিতার ছন্দে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আয়ুষ্মান খুরানা । ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করেছেন বলি অভিনেতা, যেখানে কবিতাটি বলতে শোনা গিয়েছে ভিকি ডোনার-এর অভিনেতাকে । তিনি বলেন, 'আমিও দরজা না লাগিয়েই শুতাম যদি আমি ছেলে হতাম। পাগলের মতন সারারাত বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়ে বেড়াতাম ঘুরে বেড়াতাম, যদি আমি ছেলে হতাম। অনেককে বলতে শুনেছি যে মেয়েদেরকে পড়াও, শেখাও তৈরি কর । এবং তারপর যখন সে পড়াশোনা করে একজন ডাক্তার তৈরি হবে, মায়ের যেন চোখের মনি হারিয়ে না যায়। যদি আমি একটি ছেলে হতাম। ছত্রিশ ঘন্টা লাগাতার অন্যায় হল, শ্লীলতাহানি হল! যদি ওই পুরুষের পৌরুষত্বের ক্ষমতায় নারীদের একটু কোমলতা থাকত, যদি সত্যিই আমি একজন ছেলে হতাম । মহিলাদের অনুভূতি, উদ্বেগকে নিজের কবিতায় ব্যক্ত করেছেন ।
পরিণীতি চোপড়া লেখেন,"আপনার যদি এটা পড়তে গিয়ে বুক কাঁপে, তাহলে একবার কল্পনা করুন, ওই মেয়েটি কী ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। নিন্দনীয়। ভয়ানক।" দোষীকে ফাঁসির দাবি তুলেছেন অভিনেত্রী ।
এছাড়াও, নিন্দায় সরব হয়েছেন দিয়া মির্জা, সোনাক্ষী সিনহা, কঙ্গনা রানাউত থেকে টাইগার শ্রফ, বিজয় বর্মা, বীর দাসেরা । দোষীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা ।
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে । পুলিশের হাতে ধৃত ব্যক্তিকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এদিকে, ১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় পুলিশের উপর হামলার পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপর আক্রমণেরও অভিযোগ আছে। হাসপাতালের সম্পত্তি ধ্বংসের মামলারও রুজু করেছে।