অগ্নিযুগের অগ্নিশিশু বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করেছে তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি। ১১৪ বছর আগে ব্রিটিশ সরকারের ফাঁসির দড়িতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন বাঙালি বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। তখন তাঁর মাত্র ১৮ বছর বয়স। ক্ষুদিরামের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। তেলেগু পরিচালক বিদ্যা সাগর রাজু সিনেমা তৈরি করেছেন ক্ষুদিরামের জীবন নিয়ে। সিনেমায় কিশোর বিপ্লবীর জীবনের পাশাপাশি উঠে এসেছে সমকালীন ভারত ও বাংলা, বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন, সশস্ত্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উত্থানপর্ব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভগিনী নিবেদিতার মতো চরিত্রদের দেখা যাবে ছবিটিতে।
Aindrila Sharma video: ঐন্দ্রিলার জন্মদিনে গালে কেক মাখিয়ে খুনসুটি দিদির, ভিডিও-ই সম্বল পরিবারের
ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে টলিউডেও ছবি হয়েছে। তবে ৬ দশকেরও বেশি আগে। ১৯৫১ সালে হিরণ্ময় সেনের পরিচালনায় রিলিজ করেছিল 'বিপ্লবী ক্ষুদিরাম' সিনেমা। অভিনয় করেছিলেন ছায়া দেবী, ছবি বিশ্বাস। হালে স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা পর্ব নিয়ে সিনেমা-সিরিজ হলেও ক্ষুদিরাম কিন্তু বাংলায় অবহেলিতই থেকেছেন।
বাংলা সাহিত্য নিয়ে আগেও কাজ হয়েছে তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে।
এর আগে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘আনন্দমঠ’ অবলম্বনে ছবি তৈরি হয়েছে। এবার শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে তৈরি হল সিনেমা। জানা গিয়েছে, সাতটি ভারতীয় ভাষায় মুক্তি পাবে ‘ক্ষুদিরাম বোস’। ১৭ ডিসেম্বর হবে স্পেশাল স্ক্রিনিং। ছবিটি দেখানো হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে।
বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত অভিনেতা রাকেশ জাগ্রলমুদি। বিবেক ওবেরয় এবং অতুল কুলকার্নির মতো পরিচিত মুখকেও দেখা যাবে এই ছবিতে।
৫৩ তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ার প্যানোরামা বিভাগে নাম ছিল ক্ষুদিরাম বসুর জীবন অবলম্বনে তৈরি এই ছবির। পরিচালক জানিয়েছেন, তিনি বিস্তর গবেষণা করেই এই ছবিটি তৈরি করেছেন।
১৯০৮ সালে অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করার চেষ্টা করেন দুই অসমসাহসী বাঙালি বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকি। কিংসফোর্ডকে মারতে তাঁরা ব্যর্থ হন। ব্রিটিশের হাতে ধরা পড়ে যান দু'জনেই। প্রফুল্ল আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম প্রাণ দেন ফাঁসির মঞ্চে। ১১ অগাস্ট, ১৯০৮ সালে। অকুতোভয় এই কিশোরের আত্মবলিদান বিপুল প্রভাব ফেলে জাতীয় রাজনীতিতে। মুখে মুখে ফিরতে থাকে গান, "একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি..."। সেই ক্ষুদিরাম বসুর জীবন এবার বড় পর্দায়। তবে বাংলায় নয়, তেলেগুতে।।