কাঁধে মেয়ের (Daughter) মৃত শরীর (Dead body)। তা নিয়ে ১০ কিলোমিটার (10 Kilomiter) পথে হেঁটে চলেছেন ঈশ্বর। না তিনি ভগবান নন, রক্তমাংসের মানুষ। সংবাদসংস্থা এএনআই (Ani)-এর টুইটারে এই ছবিটা সামনে আসতেই ভাইরাল (Viral)। সরগুজার এই ছবি দেখার পর রক্তচাপ বেড়েছে ছত্তিশগড়ের (Chattishgarh) কংগ্রেস (Congress) সরকারের। এই ছবি দেখার পরেই সরকার ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের (Investigation) নির্দেশ দিয়েছে। দোষীরা শাস্তি পাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Health MInister) টি এস সিংহদেও। তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। কারণ, এই ভিডিওকে হাতিয়ার করে পাল্টা চাপ দিতে শুরু করেছে বিরোধী বিজেপি (Bjp)। ভুপেশ বাঘেল সরকারের কঙ্কালসার চেহারাটা এই ছবিকে হাতিয়ার করে সামনে আনার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
ঠিক কী হয়েছিল, কেন ১০ কিলোমিটার পথ মেয়ের নিথর দেহ নিয়ে হাঁটতে হল ঈশ্বরকে ? স্থানীয়া বলছেন, শুক্রবার অসুস্থ মেয়ে সাত বছরের সুরেখাকে নিয়ে লক্ষ্মণপুরের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলেন আমডালা গ্রামের বাসিন্দা ঈশ্বর দাস। কিছু সময় পরে সেখানেই সুরেখা মারা যায়। মেয়ের দেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও গাড়ি পাননি ঈশ্বর। তাই আর অপেক্ষা না করে মেয়ের দেহ কাঁধে তুলে হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে প্রবল জ্বরে ভুগছিল সাত বছরের সুরেখা। উপায় না দেখে শুক্রবার স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে তাকে আনা হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমে যায়।
লক্ষ্মণপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক বিনোদ ভার্গবের দাবি, সুরেখার দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ লক্ষ্মণপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরকারি গাড়ি এসেছিল। কিন্তু তার আগেই ঈশ্বর মেয়ের দেহ কাঁধে তুলে গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ওডিশার কালাহান্ডির এক ভিডিও সামনে আসতে শিউরে উঠে ছিল গোটা ভারত। স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটেছিলেন দানা মাঝি। বদলে গিয়েছে স্রেফ পরিচয়। পাঁচ বছর পর পরিস্থিতি কিন্তু একই আছে।