শারীরিক কসরতের থেকেও আগামী দিনে যুদ্ধ হবে প্রযুক্তি নির্ভর। আর এই প্রযুক্তিকে জয় করতে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীতেই প্রয়োজন তরুণ প্রজন্মকে। যাঁদের 'জোশ' এবং 'হোস' দুটোই সমান ভাবে সাবলীল। রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে একথাই জানালেন ভারতীয় সেনা বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী। সেনায় চুক্তিভিক্তিক চাকরি নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ চলছে। এরমধ্য়ে দু দফায় অগ্নিপথ প্রকল্পের নিয়ম শিথিল করেছে মোদী সরকার। তবুও বাগে আনা যায়নি বিক্ষোভকে। তাই এদিন সকালেই তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে কৌশল বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী জানান, তাঁরা বাহিনীতে তারুণ্য চেয়েছিলেন। সেনাবাহিনীতে ‘যোশ’ আর ‘হোশ’ -এর যৌথ প্রকাশ চেয়েছিলেন। তাই সব দিক মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী ও এয়ার মার্শাল এস কে ঝা।
অগ্নিপথের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। শনিবার এই বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বায়ুসেনা প্রধান বিবেক রাম চৌধুরী। অবিলম্বে বিক্ষোভ থামাতে তিনি আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের পুলিশ ভ্যারিফিকেশন হতে অসুবিধা হবে। কারণ, কোনও না কোনও ভাবেই এই যুবকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। প্রায় একই উদ্বেগ দেখিয়েছিলেন সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডেও।
এদিনও সেই একই সুর কার্যত শোনা গেল তিন সেনার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে। যেখানে বিক্ষোভ থেকে সরে আসতেও আবেদন করা হল।