দাউদাউ করে জ্বলছে বহুতল। ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত তিন শিশু-সহ কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত আরও ১৫ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও দমকলের ৪০টি ইঞ্জিন। রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে জোড়াফটক এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ব্যাঙ্ক মোড় এলাকার এই ১০ তলা আবাসনে কী থেকে আগুন লেগেছে, তা গভীর রাত পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের প্রাথমিক দাবি, আশীর্বাদ টাওয়ার নামের এই বহুতলের তৃতীয় তলায় পঙ্কজ আগরওয়ালের ফ্ল্যাট। সেখানেই এদিন সন্ধ্যায় বিকট আওয়াজ করে বিস্ফোরণের শব্দ পান অন্য আবাসিকরা। সেই বিস্ফোরণ থেকেই সম্ভবত আগুন উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হলেও, বেশ কিছু পকেটে মধ্যরাত পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে। দমকলের আশঙ্কা, ভিতরে এখনও বেশ কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন।
মূল রাস্তার একেবারে উপরে এই আর্শীবাদ টাওয়ার। ফলে আগুন লাগার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। দিন কয়েক আগেই ধানবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আগুন লাগে। এদিন ঠিক তার পাশের বাড়ি আশীর্বাদ টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ব্যাঙ্ক মোড় থানার এক পুলিশ কর্মীও। আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে জখম হন ওই পুলিশকর্মী।
টুইট করে এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলছে এবং আহতদের চিকিৎসকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিতি ছিলেন ধানবাদ পুলিশের পদস্থ কর্তারা। রাজ্যের মুখ্যসচিব সুখদেব সিংও এই ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে টুইট করে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি দাবি করেছেন, এই ঘটনায় এখনও ওই আবাসনের মধ্যে আটকে রয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। ইতিমধ্য়েই দেহগুলিকে ধানবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আজ, বুধবার দেহগুলির ময়না তদন্ত হবে।