এবার উত্তরপ্রদেশেও দিল্লিকাণ্ডের ছায়া। শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের ধাঁচেই প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুন করলেন আজমগড়ের এক যুবক। খুনের পর তাঁর দেহের ছয় টুকরো করেন অভিযুক্ত। অস্ত্রের কোপে ওই যুবতীর ধড়-মুন্ডু আলাদা হয়ে যায়। শনিবার ওই যুবককে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, আজমগড়ের ইশকপুর গ্রামের বাসিন্দা আরাধনার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ছিলেন অভিযুক্ত প্রিন্স যাদব। কিন্তু চলতি বছরের গোড়ায় হঠাৎই অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায় আরাধনার। এই ঘটনার বদলা নিতেই আরাধনাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, তাঁকে সাহায্য করেন তুতো ভাই সর্বেশ-সহ পরিবারের মোট ৭ সদস্য। এরপর ১৫ নভেম্বর গ্রামের বাইরের একটি কুয়ো থেকে এক তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের দাবি ছিল, দেহটি দু’তিন দিনের পুরনো। পুলিশ তদন্তে নামতেই ওই দেহটি আরাধনার বলে চিহ্নিত করা হয়।
আরও পড়ুন- Aftab CCTV Footage: কাঁধের ব্যাগেই শ্রদ্ধার দেহাংশ, ভোর রাতের CCTV ফুটেজে ধরা পড়ল আফতাব! চলছে তদন্ত
পুলিশ সূত্রে খবর, সর্বেশ তাঁর মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে মিলে আরাধনাকে খুন করেন। ৯ নভেম্বর আরাধনাকে নিজের মোটরবাইকে করে গ্রামের একটি মন্দিরে নিয়ে যান প্রিন্স। মন্দিরে যাওয়ার পর সর্বেশ ও প্রিন্স আরাধনাকে জোর করে পাশের আখক্ষেতে নিয়ে যান। এরপর সেখানেই শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। এরপর আরাধনার পরিচয় লুকোতে মাথা কেটে ফেলা হয়। আরাধনার দেহের ছ’টুকরো করে একটি পলিথিনের ব্যাগে ভরে কুয়োয় ফেলে দেন প্রিন্স-সর্বেশ। প্রেমিকার কাটা মুন্ডুটি ওই আখক্ষেতের পাশের পুকুরে ফেলে দেন এই দুই অভিযুক্ত।