‘শুধুই স্বাধীনতা আমাদের লক্ষ্য নয়, শক্তিশালী ব্রিটিশদের হাত থেকে শাসন ক্ষমতা কিছু ধনী ভারতীয়দের হাতে চলে যাওয়া কেবলমাত্র স্বাধীনতা নয়। এতে কি দেশের খেটে খাওয়া কৃষক, শ্রমিক, মজদুরদের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হবে?’ পরাধীন ভারতের বুকে দাঁড়িয়ে প্রায় ১০০ বছর আগে এই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তিনি বীর বিপ্লবী ভগৎ সিং। হিন্দুস্থান সোস্যালিস্ট রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা বীর বিপ্লবী ভগৎ সিং এর আজ জন্মদিন।
বিশ্ব খুদা সূচকে সেই দেশই এখন দাঁড়িয়ে ১০৭ নম্বর স্থানে। আজ থেকে ১০০ বছর আগে যেই আশঙ্কা করেছিলেন ভগৎ সিং, স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও দারিদ্র সীমার নিচে ভারতের অবস্থান। ব্রিটিশদের চোখে চোখ রেখে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে বিন্দুমাত্র পা কাঁপেনি এই তরুণ তুর্কির।
ভগৎ সিংহের জন্ম ১৯০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবের লায়ালপুর জেলার বাঙ্গার নিকটস্থ খাতকর কালান গ্রামের এক সান্ধু জাট পরিবারে। তাঁর পিতার নাম সর্দার কিসান সিংহ সান্ধু ও মায়ের নাম বিদ্যাবতী। আদ্যপান্ত কংগ্রেসি পরিবারে বেড়ে ওঠা ভগতের। কিন্তু পরবর্তীতে গান্ধীর নীরবতায় সেই আদর্শ থেকে বেরিয়ে আসেন ভগৎ। বিশ্বাস রাখতে শুরু করেন কার্ল মার্ক্সের আদর্শে। সংসদে বোমা হামলার অভিযোগে জেলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর, ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ লাহোর সেন্ট্রাল জেলে রাজগুরু ও সুখদেবদের সঙ্গে ফাঁসির দড়ি মাথা উঁচু করে গলায় পরে নিয়েছিলেন বীর বিপ্লবী ভগৎ সিং। এডিটরজি বাংলার তরফে এই বীর বিপ্লবীকে কুর্নিশ।