দীর্ঘ ২ বছর পর জামিন পেলেন শিক্ষাবিদ আনন্দ তেলতুম্বডে। ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল এলগার পরিষদ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ। উল্লেখ্য, গতবছরই তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে এনআইএর বিশেষ আদালত। এরপরেই বোম্বে কোর্টে আবেদন করেন তিনি। অবশেষে শুক্রবার তেলতুম্বডেকে ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের নির্দেশ দেয় আদালত। যদিও এই নির্দেশ আপাতত এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে বোম্বে হাইকোর্ট। এর মধ্যেই যাতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। ফলে আপাতত জেলমুক্তি ঘটছে না আনন্দ তেলতুম্বডের।
এ এস গাড়কারি এবং এম এন যাদবের ডিভিশন বেঞ্চ ৭৩ বছরের এই প্রবীণ শিক্ষাবিদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। শুক্রবার ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁকে জামিন দেয় আদালত। এরপরেই এনআইএর তরফে ওই আদেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতের অনুরোধ করা হয়। এই অনুরোধ মেনে নিয়ে বোম্বে হাইকোর্ট এক সপ্তাহের জন্য এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে।
জামিনের আবেদনে তেলতুম্বডে জানান, তিনি ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণেতে এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানে ছিলেন না বা কোনও উস্কানিমূলক বক্তৃতাও দেননি। অন্যদিকে, এনআইএর দাবি ছিল এলগার পরিষদের ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিপিআই(মাওবাদী)। সেদিনের অনুষ্ঠানের উস্কানিমূলক ভাষণের জেরেই পুণের ভিমা কোরেগাঁও গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছিল।
ভিমা-কোরেগাঁও মামলায় জামিন পাওয়া তৃতীয় ব্যক্তি হলেন তেলতুম্বডে। এর আগে কবি ভারভারা রাওকে চিকিৎসার প্রয়োজনে জামিন দেওয়া হয়। এছাড়া আপাতত জামিনে মুক্ত আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজ।