অভিযোগ ছিল তাঁর স্বামী মাতাল এবং অন্য নারীর প্রতি আসক্ত। আজ থেকে প্রায় ১৭ বছর আগে এই অভিযোগ করে পুণের পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন বছর পঞ্চাশের এক মহিলা। সেনার প্রাক্তন কর্মী স্বামীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল পারিবারিক আদালত। আদালত জানায়, স্ত্রী প্রতি নিষ্ঠুরতা বলে মামলাকারী যে অভিযোগ এনেছে তা ভুল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই বম্বে হাইকোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন ওই মহিলা। সম্প্রতি সেই মামলার রায়তেও মহিলার অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। এক নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, কোনও প্রমাণ ছাড়া স্বামীর চরিত্রকে কাঠগড়ায় তোলা নিষ্ঠুরতা।
সম্প্রতি বিচারপতি নিতিন জামদার ও শর্মিলা দেশমুখের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছে, স্বামীর চরিত্র নিয়ে অযৌক্তিক অভিযোগ তুলেছেন আবেদনকারী। অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণও দেখাতে পারেননি। এর ফলে তাঁর স্বামীর মানহানি হয়েছে। একে নিষ্ঠুর আচরণ বলা যায়। হাইকোর্টে এই মামলা চলার সময় অবশ্য ওই মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তাই পারিবারিক আদালতের রায়কে বহাল রেখে উত্তারাধিকারী চিহ্ণিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।