গত অগাস্ট মাসে চাঁদের মাটিতে ইতিহাস তৈরি করছে ভারত। ইসরোর চন্দ্রযান-তিন অভিযানকে কুর্নিশ করেছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু প্রদীপের নিচেই তো অন্ধকার। যেমন দীপক কুমার উপারিয়া। একসময় তিনি ছিলেন বিশ্বকর্মা, আজ তিনি রাস্তার ইডলি বিক্রেতা।
ঝাড়খণ্ডের রাঁচির এই ভদ্রলোকের অবদান ছিল চন্দ্রযান-তিন তৈরিতে। ভারত হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের এই কর্মীর ঘাম জলে তৈরি হয়েছিল চন্দ্রযানের ফোল্ডিং প্ল্যাটফর্ম এবং স্লাইডিং দরজা। এরপর কী হল ?
বাকি ২ হাজার ৮০০ কর্মীর মতোই গত ১৮ মাস বেতন নেই দীপকের। তাই দু লক্ষ টাকা লোন করেছিলেন। কিন্তু শোধ দেবেন কী ভাবে ? শেষ পর্যন্ত রাঁচির রাস্তায় এখন ইডলি বিক্রি করেন সংসার চালান। অফিস যাওয়ার আগে এবং অফিস ফেরত এটাই তাঁর নতুন পেশা।
দীপক বলেছেন, 'আমার স্ত্রী খুব ভাল ইডলি তৈরি করে। সময় নষ্ঠ না করে তাই আমিও রাস্তায় নেমে পড়লাম। কোনওদিন ১০০ টাকা রোজগার হয়, আবার কোনও দিন হয় না। কী করব বলুন, সংসার তো চালাতে হবে।'