গোষ্ঠীসংঘর্ষের (Clash) ঘটনায় ফের উত্তেজনা রাজধানী দিল্লিতে। শনিবার সন্ধ্যায় হনুমান জয়ন্তীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জাহাঙ্গিরপুরী। সেই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ন'জন। অভিযোগ, মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এমনকী, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ইট, পাথর ছোড়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। এই ঘটনায় আহত নয় জনের মধ্যে আট জন পুলিশকর্মী এবং এক জন সাধারণ নাগরিক।
শুধু ইট-পাটকেল নয়, এই ঘটনায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গুলিতে আহত হয়েছেন দিল্লি পুলিশের এক সাব ইনস্পেক্টর। তাঁর নাম মেধা লাল মীনা। তাঁর হাতে গুলি লাগে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে মীনা জানিয়েছেন, দুই গোষ্ঠীর প্রায় এক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। দু’দিক থেকেই পাথরবৃষ্টি হচ্ছিল। ওই ভিড়ের মধ্যে থেকেই গুলি চলে বলে দাবি পুলিশ আধিকারিকের।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, ‘‘কেবল জাহাঙ্গিরপুরী নয়, আশপাশের এলাকাতেও গোলমাল হয়েছে। আমরা অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছি। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে উচ্চপদস্থ অফিসারদের নিজ নিজ এলাকায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। টহলদারি সঠিক ভাবে হচ্ছে কি না সে দিকে নজর রাখবেন তাঁরা।’’ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই উপযুক্ত ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নেটমাধ্যমে ছড়ানো ভুয়ো খবর ও গুজবে কান না দিতে বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দোষীদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন। একই সঙ্গে পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।