বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে একাধিকবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে গিয়েছে বিজেপি। এবার উত্তরপ্রদেশর প্রয়াগরাজের ঘটনাকে হাতিয়ার করে পাল্টা মানবাধিকার কমিশনের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই এই ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। তৃণমূলের অভিযোগ, নিহতের পরিবারের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করছে পুলিশ। এমনকী, স্বচ্ছভাবে এই ঘটনার তদন্তের কোনও সদিচ্ছা নেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। গত শনিবারের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের খেবরাজপুরে একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। পরিবারের অভিযোগ বাড়ির দুই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। যদিও সরকারি ভাবে অভিযোগ ধর্ষণের কোনও উল্লেখ নেই বলেই নিহতের পরিবারের অভিযোগ। তাঁদের অভিয়োগ, এই ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে যোগী রাজ্যে পুলিশ।
রবিবার খেবরাজপুরে যায় তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দোলা সেন, মমতাবালা ঠাকুররা। চিঠিতে সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা যে সব গুরুতর অভিযোগ করেছেন তা ইচ্ছাকৃত ভাবেই এফআইআরে রাখেনি পুলিশ। মৃত সুনীলের স্ত্রী ও তাঁর বোনের রক্তাক্ত নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে। পরিবারের ধারণা, ওঁদের ধর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ লিপিবদ্ধ করার সময় ধর্ষণের উল্লেখ করেইনি বলে দাবি তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের। এই সব কারণ উল্লেখ করে প্রয়াগরাজ কাণ্ডে মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। উল্লেখ্য, আগেই তৃণমূলের তরফে দোলা সেন অভিযোগ করেছিলেন, যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) যতই বুলডোজার শাসন ব্যবস্থার কথা মুখে বলুক, আসলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।