ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। খাদে বাস পড়ে গিয়ে মৃত কমপক্ষে ৩৬ জন। ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আহত অনেকে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের আলমোরা জেলায়। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির তদারকিতে চলছে উদ্ধারকাজ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
উত্তরাখণ্ডের গারওয়াল থেকে কুমায়ুন যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাসটি। বাসে কমপক্ষে ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। সারারাত ধরেই বাস চলছিল। প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরের গন্তব্যে পৌঁছতে তখন বাকি মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। আচমকাই সকাল ৮টা ২৫ নাগাদ আলমোড়ার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, গন্তব্য থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে আচমকাই গভীর খাদে পড়ে যায় বাসটি। খরস্রোতা খাদে বাসটি প্রায় তলিয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়।
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চালানো হয় উদ্ধারকাজ। প্রথমে ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়। ধীরে ধীরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬-এ। আহতদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কয়েকজনকে আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এইমসে।
কী কারণে দুর্ঘটনা?
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাসে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও প্রাথিক ভাবে অনেকে মনে করছেন, রাতভর চড়াই-উতরাই পথে বাস চালাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন চালক। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে, পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকেও মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।